পরামর্শ: কাজ করুন সমন্বয় রেখে। এই কথাই রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, গৌতম দেব, সৌরভ চক্রবর্তী ও সরকারি আধিকারিকদের বলছেন মমতা। নিজস্ব চিত্র
নানা বিভাগের অফিসারদের এক পরিবারের সদস্যদের মতো মিলেমিশে উন্নয়নের কাজ করার জন্য নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার দুপুরে পিনটেল ভিলেজে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার আধিকারিকদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। এখানেই কন্যাশ্রী থেকে পর্যটন, রাস্তা থেকে বিদ্যুৎ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা প্রকল্পের কাজ দ্রুত করার নির্দেশ দেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই ধরনের পর্যালোচনা বৈঠক প্রতিটি জেলায় করি। এখানে কালিম্পং নতুন জেলা। সেখানে নানা কাজ শুরু হয়েছে। সবাই মিলে পরিবারের মত কাজ করবেন। পাহাড় ও সমতল সব জায়গায় উন্নয়নের কাজ চলছে।’’
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বৈঠকের শুরুতেই কন্যাশ্রী প্রকল্পের কাজে গতি আনার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়ের পুলিশ-প্রশাসনকে বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়ার পর পর্যটনের নানা প্রকল্প ও পূর্ত দফতরের একাধিক রাস্তা, ও বিদ্যুত দফতরের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রসঙ্গ ওঠে।
অফিসাররা জানান, কোনও প্রকল্প একটি দফতরের হলেও তাতে অন্য দফতর জড়িয়ে থাকে। রাস্তা, বিদ্যুৎ, পানীয় জল বা জমির বিষয় সাধারণত চলে আসে। আবার পর্যটনের ক্ষেত্রে এই অঞ্চলে বন দফতরের বড় ভূমিকা রয়েছে। কোনও কোনও সময় বিভিন্ন দফতর ঢিমেতালে চলায় সময় গড়িয়ে যায়। দফতরগুলির মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের প্রশ্ন ওঠে। এই পরিস্থিতিতেই মুখ্যমন্ত্রী সকলকে পরিবারের মত চলতে বলেছেন।
আগামী মে মাসের মধ্যে পাহাড়ে পুরভোটের পর্ব শেষ হওয়ার কথায়। তাই এ দিনের বৈঠকে পাহাড় বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। সেখানে পর্যটন, তথ্যপ্রযুক্তি, হর্টিকালচার এবং বিদ্যুৎ পরিষেবা মূলত ঢেলে সাজার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শিলিগুড়ি শহরের ক্ষেত্রে রাস্তা এবং ট্র্যাফিক ব্যবস্থাকে মজবুত করার কথাও আলোচনায় উঠে আসে। তেমনিই, স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে সরকার যে যথেষ্ট কড়া মনোভাব নেবে, তা আবারও বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন হাসপাতাল-নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে উঠে আসা অভিযোগ সম্পর্কে সবিস্তার জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। মহকুমাশাসক এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পাঁচটি ক্ষেত্রে তদন্ত কমিটি গড়ার কথাও জানান। সেগুলি দেখে কড়া হাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিনের প্রশাসনিক বৈঠকের আগেই এনজেপি ‘টি পার্কে’র সমস্যা মেটানো নিয়ে মমতা আলোচনা করেন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২০০৯ সাল থেকে প্রকল্পটি পড়ে ছিল। এ দিন সমস্যা মিটে গিয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, পার্কের জমির লিজের সমস্যা রেলের সঙ্গে কথা বলে মেটানো হয়।