রিচমন্ড হিলে বসে উদ্ধারের তদারকি, আজ শহরে ফিরছেন মমতা

তাতেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। বৃষ্টিমুখর পাহাড়ের রাস্তায় পুলিশের ছোটাছুটি বেড়ে যায়। নিরাপত্তারক্ষীদের কয়েকটি গাড়ি রওনা হয়ে ঘুম অবধি পৌঁছে যায়। শিলিগুড়িতে বিমানবন্দরে বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু হয়

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৫৮
Share:

উদ্বিগ্ন: মাঝেরহাটে সেতু ভেঙে পড়ার খবর পাওয়ার পরে পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে মুখ্যসচিব মলয় দে-র সঙ্গে আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দার্জিলিঙের রিচমন্ড হিলে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার খবর পৌঁছনো মাত্র বদলে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দার্জিলিং সফরের ছবিটা। রিচমন্ড হিলে থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীর মন যেন চলে গিয়েছে মাঝেরহাটে। প্রতি মুহূর্তে ফোন। সফরসঙ্গীদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত ‘আপডেট’ নিচ্ছেন। সূত্রের খবর, একটা সময় মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘না আমি আজই কলকাতায় চলে যাব।’
তাতেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। বৃষ্টিমুখর পাহাড়ের রাস্তায় পুলিশের ছোটাছুটি বেড়ে যায়। নিরাপত্তারক্ষীদের কয়েকটি গাড়ি রওনা হয়ে ঘুম অবধি পৌঁছে যায়। শিলিগুড়িতে বিমানবন্দরে বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু হয়। এমনকি, সুকনা সেনা ছাউনি থেকে হেলিকপ্টারে যাওয়া সম্ভব কি না, সেও খোঁজখবর হয়। পদাতিক এক্সপ্রেস রাত ৯টায়। তাতেও মুখ্যমন্ত্রী চলে যেতে পারেন বলে খবর আসায় রেল পুলিশের তরফেও তৎপরতা শুরু হয়।
পাহাড়ে বিনয় তামাং, অনীত থাপারাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাসের জন্য বেশ বড় মাপের প্রস্তুতি নিয়েছেন বিনয়-অনীতরা। তাই রাত ৮টা নাগাদ যখন খবর মেলে, মুখ্যমন্ত্রী দার্জিলিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করেই পাহাড় ছাড়তে চান, তখন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন বিনয়রা।
কিন্তু, বুধবার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কলকাতায় পৌঁছতে চান তিনি। তাই উদ্বোধনের অনুষ্ঠান এগিয়ে বেলা ১১টায় করা হয়। এক ঘণ্টার অনুষ্ঠানের পরে মুখ্যমন্ত্রী রওনা হয়ে বেলা ৩টে নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছনোর কথা। সব ঠিক থাকলে আজ, বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ তাঁর কলকাতার উড়ান ধরার কথা। তবে বিকেল সাড়ে তিনটের বিমানেও তিনি ফিরে যেতেন পারে বলে খবর। কারও কারও ধারণা, তারও আগের একটি বিমান ধরতে পারেন তিনি।
সরকারি সূত্রের খবর, দার্জিলিঙের রিচমন্ড হিলে বসেই গভীর রাত অবধি মাঝেরহাট সেতুর উদ্ধার কার্য, আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে তদারকি করেন মুখ্যমন্ত্রী। পূর্ব নির্ধারিত একাধিক বৈঠকও সংক্ষিপ্ত করে দেন তিনি।
রাজ্য সরকারের এক শীর্ষ কর্তা জানান, মুখ্যমন্ত্রী রাতেই কলকাতায় পৌঁছনো দরকার বলে বারবার বলেছেন। কিন্তু, পাহাড় থেকে দ্রুত কলকাতায় পৌঁছনো মুশকিলের ব্যাপার বলে ওই কর্তা জানান। আজ, সন্ধ্যার মুখে কলকাতায় পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি মাঝেরহাটের উড়ালপুল দুর্ঘটনার ঘটনাস্থলে চলে যেতে পারেন বলেও সূত্রটি জানিয়েছে।

Advertisement

Advertisement

(শহরের প্রতি মুহূর্তের সেরা বাংলা খবর জানতে পড়ুন আমাদের কলকাতা বিভাগ।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement