আশ্বাস পেয়েও হয়নি চিকিৎসা

লছমি কর্মকার নামের প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীর বাড়ি চালসা রেলগেটের কাছে শিবমন্দির পাড়ায়৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৩
Share:

অসহায়: ঠাকুমাকে ধরে হাঁটছে লছমি। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক।

প্রতিবন্ধী কিশোরীকে এক ঝলক দেখেই তার চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিশোরীর ঠাকুমাকে বলেছিলেন, নাতনিকে কলকাতায় নিয়ে যেতে৷ কিন্তু কিশোরীর ঠাকুমার অভিযোগ, কলকাতা পর্যন্ত নিয়ে যেতে তাঁদের কেউই সাহায্য করেননি৷ এখনও তাই ঠাকুমাকে আগলে চলাফেরা করতে হচ্ছে চোদ্দো বছরের ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীকে৷

Advertisement

লছমি কর্মকার নামের প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীর বাড়ি চালসা রেলগেটের কাছে শিবমন্দির পাড়ায়৷ বাড়িতে ঠাকুমা ছাড়াও বাবা-মা ও আরও দুই ভাইবোন রয়েছে তার৷ পরিজনেরা জানিয়েছেন, জন্মের কয়েক মাস পরই সে দু’চোখের দৃষ্টি শক্তি হারায়৷ একটু বড় হতেই বাড়ির লোকেরা বুঝতে পারেন কোমড়ের নীচে জোর না পাওয়ায় সে হাঁটতেও পারবে না৷ কিন্তু দিনমজুর বাবা ও মাঝেমধ্যে কোনও বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করা মায়ের পক্ষে মেয়ের সে ভাবে চিকিৎসা করানোও সম্ভব হয়নি৷ ফলে প্রতিবন্ধকতাকে সঙ্গী করেই বড় হতে থাকে সে৷

২০১৬ সালে কালিম্পঙের সুনতালেখোলা এলাকায় যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখান থেকে ফেরার সময় চালসা রেলগেটের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি৷ কাছেই একটি তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে তখন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে ভিড় জমান অনেকেই৷ সেই ভিড়ের মধ্যে ঠাকুমার কোলে ছিল লছমিও৷

Advertisement

তার ঠাকুমা লক্ষ্মী কর্মকার জানান, ‘‘মুখমন্ত্রী নাতনিকে এ ভাবে আমায় আঁকড়ে ধরে থাকতে দেখে ওর ব্যাপারে জানতে চান৷ আমি বিষয়টা তাঁকে জানাই৷ এরপরই চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ নাতনিকে নিয়ে যেতে বলেন কলকাতায় কালীঘাটে৷ কিন্তু আমাদের যা আর্থিক অবস্থা তাতে করে ওকে নিয়ে যেতে পারিনি৷ কেউ কলকাতা নিয়ে যেতে এগিয়েও আসেননি৷’’ কিশোরীর বাড়ির লোকেদের কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজে আশ্বাস দিয়েছিলেন৷ তাই কলকাতা পর্যন্ত যেতে পারলে হয়তো কিশোরী ভাল হয়ে যেত৷ কিন্তু নিয়ে যাওয়াই গেল না৷’’

বিষয়টি শুনে আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। মেটেলি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি স্নোমিতা ওঁরাও বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না৷ কেউ আমায় জানায়ওনি৷ আগে জানলে অবশ্যই একটা ব্যবস্থা করতাম৷’’ তবে তাঁর আশ্বাস, আমি নিজে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব৷

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement