প্রার্থী ঠিক করেও অপেক্ষা

জিএনএলএফ সূত্রের খবর, এ দিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক ঠিক হয়েছে আজ, শনিবার থেকে দলের একটি স্টিয়ারিং কমিটি রোজ বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে। নিয়মিত ভাবে সেই খবর দলের সভাপতি মন ঘিসিংকে জানাবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৯ ০৭:৫৮
Share:

নিজেদের প্রার্থীকে তৈরি রেখে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল-মোর্চা ও বিজেপি বিরোধী সর্বসম্মত প্রার্থী ঠিক করতে আরও কয়েকদিন অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল জিএনএলএফ। শুক্রবার দার্জিলিঙে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকের আগে-পরে সিপিআরএম, সিপিএম, গোর্খা লিগ, কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে জিএনএলএফ নেতারা কথা বলেন। যেহেতু দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে মনোনয়নপত্র জমার শেষদিন এখনও সপ্তাহখানেক বাকি রয়েছে, তাই আর কটা দিন দেখে নিতে চাইছেন তাঁরা। আর তাতে সাড়া দিয়ে রাজ্য বামফ্রন্টের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা থেকে এ দিন দার্জিলিং আসনটিকে বাদ রাখা হয়েছে। শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা সর্বসম্মতিক্রমে প্রার্থী দাঁড় করানোর পক্ষে। তাই এই আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।’’

Advertisement

জিএনএলএফ সূত্রের খবর, এ দিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক ঠিক হয়েছে আজ, শনিবার থেকে দলের একটি স্টিয়ারিং কমিটি রোজ বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে। নিয়মিত ভাবে সেই খবর দলের সভাপতি মন ঘিসিংকে জানাবেন। নির্দল কোনও প্রার্থী চূড়ান্ত হলে ভাল, নইলে দল নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করে দিতে পারে। ভোটের প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

দলের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র নীরজ জিম্বা বলেন, ‘‘আমরা আরও কয়েকটা দিন দেখে নিতে চাইছি। আমাদের প্রার্থী তৈরি রয়েছে। সভাপতি প্রয়োজনে সেসব বলবেন। তবে যে কোনও মূল্যে সর্বসম্মতিক্রমে একজন গ্রহণযোগ্য প্রার্থীর খোঁজ চলছে। অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কয়েকটি নাম নিয়ে আলোচনা চলছে।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

গত এক মাস ধরেই পাহাড়ে তৃণমূল এবং বিজেপি’র বিরুদ্ধে সবর্সম্মতভাবে প্রার্থী খুঁজতে উদ্যোগী হয় জিএনএলএফ। দার্জিলিঙে কংগ্রেস, সিপিএম, সিপিআরএম, জাপ, গোর্খা লিগ মিলিয়ে ১১টি দলকে এক টেবিলে এনে আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু প্রথমে সিপিআরএমের প্রাক্তন সাংসদ রত্না বাহাদুর রাই, তারপরে জাপের হরকা বাহাদুর ছেত্রী নিজেরা প্রার্থী হতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে জটিলতা তৈরি হয়। এক দফায় সবাই সমতলে এসে বাগডোগরা থেকে অশোক ভট্টাচার্য, শঙ্কর মালাকারদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement