অভ্যর্থনা: প্রচারে ব্যস্ত বাম প্রার্থী সমন পাঠক। —নিজস্ব চিত্র
সময় কম, তাই দার্জিলিং কেন্দ্রে জোরকদমে প্রচার শুরু করেছে সিপিএম এবং কংগ্রেস প্রার্থীরা। বুধবার দিনভর পাহাড়ে প্রচার চালান কংগ্রেস প্রার্থী শঙ্কর মালাকার। অন্যদিকে সমতলে প্রচার করেন বাম প্রার্থী সমন পাঠক। প্রার্থীদের সঙ্গে দুই দলের জেলা নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। একাধিক পদযাত্রা, কর্মী সভা, মিছিলে অংশ নেন দুই প্রার্থীই। ভোটের প্রচারে বৃহস্পতিবার পাহাড়ে যাচ্ছেন দার্জিলিং লোকসভাকেন্দ্রের বাম প্রার্থী সমন পাঠক। বুধবার মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সমতলের কয়েকটি এলাকায় প্রচার সারেন তিনি।
এদিন সকালে শিলিগুড়ি পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থীকে নিয়ে পদযাত্রা করে সিপিএম। অশোক ভট্টাচার্যের বাড়ির সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রা হয় ২৪ নম্বর ওয়ার্ডেও। ৩ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডেও প্রার্থীকে নিয়ে প্রচারে বার হন বাম নেতৃত্ব। বাড়ি, দোকানে গিয়েও তাঁকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেন প্রার্থী। আরএসপির দার্জিলিং জেলা নেতা রামভজন মাহাত প্রার্থীর সঙ্গে প্রচারে অংশ নেন। বিকেলে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে পদযাত্রায় যোগ দেন সমন। ৪৭ নাম্বার ওয়ার্ডে দলের নির্বাচনি কার্যালয়ও উদ্বোধন করেন তিনি। ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ঘোষপুকুরে নির্বাচন উপলক্ষ্যে কর্মীসভাও করে বামফ্রন্ট। সেখানে জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক জীবেশ সরকার, অশোক ভট্টাচার্য বক্তব্য রাখেন। সমন বলেন, ‘‘মানুষের সারা পাচ্ছি। বিরোধী দল করেন এমন অনেকেই এগিয়ে এসে ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। জয়ের লক্ষ্যেই এগোচ্ছি।’’ সমন জানান, পাহাড়ে বিজেপি এবং তৃণমূল মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। তাই দু’টি দলের বিরুদ্ধেই প্রচার চলবে।
এদিন সকালে দার্জিলিঙে কংগ্রেস কার্যালয়ে পাহাড়ের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন শঙ্কর মালাকার। পাহাড়ের প্রতিটি ব্লক সভাপতি থেকে জেলা নেতারাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। দলের প্রবীণ নেতাদেরও এদিন কার্যালয়ে দেখা গিয়েছে। কী ভাবে পাহাড়ে ভোট প্রচার করা হবে তা নিয়ে পাহাড়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন শঙ্কর। সেখান থেকে বেরিয়ে চক বাজারে দলীয় পদযাত্রায় যোগ দেন তিনি। স্থানীয় ব্যবসায়ী, গাড়ি চালক, পথ চলতি সাধারণ মানুষের কাছে হাতজোড় করে ভোট চান। কেন কংগ্রেসকে ভোট দেবে কয়েক জায়গায় দাড়িয়ে সেটাও ব্যাখ্যা করেন। এরপর কার্শিয়াং টাউন কংগ্রেস কার্যালয়ে কর্মীসভা করেন শঙ্কর। কার্শিয়াং শহরেও পদযাত্রা করে ভোট প্রচার করেন তিনি। শঙ্কর জানিয়েছেন, ১০ বা ১২ এপ্রিল দার্জিলিঙে সভা করতে আসবেন রাহুল গাঁধী। সভার জন্য মোটর স্ট্যান্ড ও লেবং ফুটবল গ্রাউন্ডকে প্রাথমিক ভাবে বাছা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘মানুষ তৃণমূল ও বিজেপির উপর ব্যাপক ক্ষুব্ধ। প্রথম দিনের প্রচারেই ভাল সারা পেয়েছি।’’