৭৯ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী

এখনও পর্যন্ত যা হিসেব, তাতে ৩৯৭টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র বাদে সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৯ ১১:৫২
Share:

কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ। —ফাইল চিত্র

মঙ্গলবার সন্ধে পর্যন্ত পাওয়া বাহিনীর সংখ্যা অনুযায়ী জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের ৭৯ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, মঙ্গলবার পর্যন্ত জলপাইগুড়িতে ৪৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। এই বাহিনীর মধ্যে বিএসএফ ছাড়াও, আইটিবিপি, এসএসবি-র সেনারাও রয়েছেন। ইতিমধ্যে কোন কোন বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা থাকবে তার তালিকাও হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

এখনও পর্যন্ত যা হিসেব, তাতে ৩৯৭টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র বাদে সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। আজ বুধবার জলপাইগুড়িতে আসছেন রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। জেলা প্রশাসন এবং রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে তাঁর বৈঠক হতে পারে। বিবেক দুবের বৈঠকের পরে আরও কিছু কোম্পানি সেনা জলপাইগুড়িতে আসতে পারেন। সে ক্ষেত্রে লোকসভার নব্বই শতাংশ বুথে সেনা দেওয়া হতে পারে বলে কমিশন সূত্রের খবর।

তবে কত কোম্পানি বাহিনী জলপাইগুড়িতে এসেছে এবং কত বুথে তাঁদের মোতায়েন করা হবে তা নিয়ে নির্দিষ্ট করে তথ্য প্রশাসন জানায়নি। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করেছেন জলপাইগুড়ির লোকসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার তথা জেলাশাসক শিল্পা গৌরীসারিয়া এবং জেলা পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি। জেলাশাসক বলেন, “৩৫৪টি বুথকে অতি স্পর্শকাতর চিহ্নিত করা হয়েছে। এর সব ক’টিতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। এ ছাড়াও আরও বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। যে বুথগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না সেখানে রাজ্য পুলিশ থাকবে।” জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে।

Advertisement

বিজেপির তরফে প্রশাসনকে একহাত নেওয়া হয়েছে এ দিনও। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রচারের কো-অর্ডিনেটর তথা রাজ্য কমিটির সদস্য প্রবাল রাহা বলেন, “কত কোম্পানি বাহিনী জেলায় আসছে তা নির্দিষ্ট করে কেন প্রশাসন জানাচ্ছে না সেটাই রহস্য। বেশি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে এ কথা বলে দিলে হয়ত কারও রোষের মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।”

জলপাইগুড়ি জেলার বেশি সংখ্যক বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে সে নির্দেশ এসেছে কমিশন থেকেও। সূত্রের খবর, গত পঞ্চায়েত বুথে জলপাইগুড়ি জেলার বহু গ্রাম পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া বারোপেটিয়া, পাতকাটা, পাহারপুরের প্রায় সব গ্রাম পঞ্চেয়েত আসনে এবং মালবাজারের পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির বেশ কিছু আসনে বিজেপি প্রার্থী দিলেও পরে তা প্রত্যাহার হয়ে যায়। বিরোধীদের অভিযোগ, সন্ত্রাসের জেরেই মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়। তার প্রভাবেই ভোটে কড়াকড়ি হচ্ছে বলে দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement