দাড়িভিটে নিহত ছাত্র তাপস বর্মণের বাড়িতে দেবশ্রী। নিজস্ব চিত্র
প্রত্যাশিত ভাবেই দাড়িভিট-কাণ্ডকে প্রচারে টেনে আনল বিজেপি। সোমবার ইসলামপুরে আসেন রায়গঞ্জের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী। নিহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি ওই ঘটনার সুবিচারের আশ্বাসও দেন।
এ দিন নিহত রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান দেবশ্রী। ছেলেদের সমাধিস্থলে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন দুই মায়েরাও। দেবশ্রী বলেন, ‘‘দাড়িভিট-কাণ্ড দেশ তথা গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। এখানকার ছাত্রেরা নিজেদের শিক্ষকের দাবিতে আন্দোলন করেছিল। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘটনার পরেও কোন তদন্ত করেননি। মুখ্যমন্ত্রী মহিলা হয়েও ওঁর এতটুকু দুঃখ হয়নি।’’ এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ ইসলামপুরে পৌঁছনোর কথা ছিল দেবশ্রীর। সকাল থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা ছিলেন ইসলামপুরের দলীয় কার্যালয়ের সামনে। দুপুর পেরিয়ে বিকেল ৪টে নাগাদ কার্যালয়ে পৌঁছন প্রার্থী। ঢাক বাজিয়ে তাঁকে বরণ করে নেন এলাকার কর্মী-সমর্থকেরা। সেখান থেকে ইসলামপুরের সিদ্ধেশ্বরী, মণ্ডলপাড়া সংলগ্ন এলাকায় কালীমন্দির এবং আরও কয়েকটি মন্দিরে পুজো দিয়ে সোজা রওনা দেন দাড়িভিটের উদ্দেশ্যে। সেখানে নিহত তাপসের বাড়িতে একটি নির্বাচনী কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন দেবশ্রী। রাজেশ-তাপসের মায়েদের জড়িয়ে ধরেন তিনি। তাঁদের নিয়েই নদীর ধারে নিহতদের সমাধিস্থলে যান প্রার্থী। সেখানে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘শপথ নিচ্ছি, এই ঘটনার বিচার হবেই।’’ এদিন সন্ধ্যায় নিহত তাপসের বাড়িতে খাওয়াদাওয়া সারেন তিনি।
এর আগে, এ দিন সকালে কানকির রামদেব মন্দিরে পুজো দিয়ে হেঁটে ভোটপ্রচার শুরু করেন দেবশ্রী। বিভিন্ন জায়াগায় দলের কর্মী-সমর্থকেরা অভিনন্দন জানান। বোতলবাড়িতে তাঁকে প্রথমে অভিনন্দন জানানো হয়। সেখান থেকে চলে আসেন টূঙ্গিদিঘি। পরে করণদিঘির দলীয় কার্যালয়ে কর্মী-বৈঠক করেন। পরে রওনা দেন ইসলামপুরের দাড়িভিট। করণদিঘিতে তিনি বলেন, ‘‘আমাকে অমিত শাহ, মোদীজি প্রতিনিধিত্ব করার জন্য পাঠিয়েছেন। উত্তরবঙ্গের পিছিয়ে পড়া এলাকার উন্নয়নের জন্য পাঠিয়েছেন। প্রচুর মানুষের সাড়া পাচ্ছি।’’
জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন বলেন, ‘‘দাড়িভিট এলাকার বড় ঘটনা। আমরা সবসময় নিহতদের পরিবারের পাশে ছিলাম। তাঁদের নিয়ে দেশ জুড়ে আন্দোলন হয়েছে। দাড়িভিট নিয়ে ধর্মঘটের দিন ইসলামপুরে তৃণমূলের লোকজন যে হামলা করেছে সেই বিষয়টিও তুলে ধরা হবে প্রচারে।’’