বেপরোয়া বালি চোর

অবৈধ বালি খাদানের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমে শনিবার সকালে দু’টি পে লোডার ও ছ’টি বালি বোঝাই ডাম্পার বাজেয়াপ্ত করেছিল ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর। অভিযান শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের তিস্তার নদী গর্ভ থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলার কাজ শুরু হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:২৪
Share:

অবাধে: তিস্তা থেকে তোলা হচ্ছে বালি। ছবি: সন্দীপ পাল

অবৈধ বালি খাদানের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমে শনিবার সকালে দু’টি পে লোডার ও ছ’টি বালি বোঝাই ডাম্পার বাজেয়াপ্ত করেছিল ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর। অভিযান শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের তিস্তার নদী গর্ভ থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলার কাজ শুরু হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

জলপাইগুড়িতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক ছোঁয়া তিস্তা সেতুর আগে বাঁ দিকে নেমে যাওয়া নদীগর্ভ থেকে অবৈধ ভাবে ভাবে বালি তোলা রুখতে অভিযান চালিয়েছিল ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর। অভিযোগ, দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতেই ফের সক্রিয় হয়ে ওঠে বালি মাফিয়ারা। প্রায় সারা রাত ধরে বালি তোলা হয় বলে সূত্রের খবর।

রবিবার সকালেও এই এলাকায় বালি তোলা হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা । একই সঙ্গে জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌরঙ্গি এলাকা ছাড়িয়ে তিস্তার নদীগর্ভ থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলা চলছে বলে অভিযোগ। এই এলাকার বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য রুখতে গিয়ে খোদ ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের পদস্থ কর্তাদের বেশ কয়েকবার হেনস্থার শিকারও হতে হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিক বিপ্লব হালদার বলেন, ‘‘পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এই এলাকাতেও শীঘ্র অভিযান হবে।’’

Advertisement

জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি, মালবাজার, ময়নাগুড়ি ও রাজগঞ্জ ব্লকের নদীগুলি থেকে বালি তোলার অনুমতি দেওয়া হলেও জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের কোনও নদী থেকে বালি তোলার অনুমতি এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট দফতর জানিয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘আমরা সংশ্লিষ্ট থানার আইসি-ওসিদের মাধ্যমে দ্রুত বালি পাচার নিয়ে জানতে চিঠি পাঠিয়েছি। নদীর কোন এলাকা থেকে বালি পাথর উত্তোলন করা হবে তা চিহ্নিত করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement