এক পশলা বৃষ্টিতে জেলায় খানিক স্বস্তি ফিরলেও অন্ধকার নেমে এল গাজল ও মানিকচকের পাঁচ পরিবারে। বুধবার দুপুরে বজ্রপাতে মালদহে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরী-সহ পাঁচ জনের। জখম হয়েছেন কম পক্ষে আট জন। তাঁরা ভর্তি রয়েছেন গাজল ও মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে সায়েম আলি (২৭), জোহান সরেন (৫৫), শান্তি সাউরিয়া (৫৫), তালাময়ী চঁড়ে (৩৫) গাজলের করকচ এবং বৈরগাছি ২ পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা আর সুবি খাতুন (১২) মানিকচক থানার নুরপুর পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। এই দুই ব্লকেরই তিন মহিলা-সহ আট জন হাসপাতালে ভর্তি। মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “বজ্রপাতে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।”
মালদহে টানা গরম চলছিল। গত, দু’দিনে তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছিল ৩৮ ডিগ্রি। এ দিন সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা হয়ে আসে। কিন্তু আকাশ মেঘলা হলেও অস্বস্তিকর গরমে নাজেহাল ছিলেন জেলাবাসী। দুপুর ২টো নাগাদ আকাশ কালো করে মেঘ দেখা যায়। বজ্রপাত-সহ বৃষ্টি শুরু হয় জেলা জুড়ে। বৃষ্টিতে তাপমাত্রার পারদ নেমে যাওয়ায় স্বস্তি পান বাসিন্দারা। কিন্তু এ দিনের সামান্য বৃষ্টিতেই বজ্রপাতে গাজল ও মানিকচকে মৃত্যু হয় পাঁচ জনের।
এ দিন বিকেলে করকচ পঞ্চায়েতে ভুট্টার জমিতে কাজ করছিলেন শান্তি সাউরিয়া ও তালাময়ী চঁড়ে। আচমকা বজ্রপাত-সহ বৃষ্টি শুরু হলে জমির পাশেই এক অস্থায়ী ছাউনিতে আশ্রয় নেন তাঁরা। বাজ পড়ে সেখানেই দুই মহিলা পুড়ে ঝলসে যান। জমিতে স্ত্রী রাশেদা বিবির সঙ্গে কাজ করছিলেন গাজলের বৈরগাছি ২ পঞ্চায়েতের সায়েম আলিও। সেই সময় বাজ পড়ে স্বামী-স্ত্রী আহত হন। বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা সায়েমকে মৃত ঘোষণা করেন। রাশেদা হাসপাতালে ভর্তি। জমিতে কাজ করার সময় বাজ পড়ে মারা যান জোহান সোরেনও।
অন্য দিকে, নুরপুরে বাজ পড়ে মৃত্যু হয় সুবি খাতুন নামে এক কিশোরীর। সে বৃষ্টির সময় বাড়ির বাইরে খেলা করছিল। বাজ পড়লে পুড়ে যায় ওই কিশোরী। পরিবারের লোকেরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। মানিকচকের আর এক মহিলাও জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা পরিবারগুলোর পাশে আছি।”
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।