পাঁচশো ও হাজার টাকার নোট বাতিল নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই শুক্রবার রাতে কালিয়াচকের মোজমপুর থেকে জাল নোট চক্রে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে এক লক্ষ টাকার জাল নোটও উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে দু’জন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ও একজনের বাড়ি কালিয়াচকেই। পুলিশের দাবি, ওই তিনজনকে মোজমপুরের বাসিন্দা কমল বিশ্বাসের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। জালনোট কাণ্ডে ধৃত আসাদুল্লা বিশ্বাসের ডানহাত বলেই পরিচিত কমল। আসাদুল্লা গ্রেফতারের পরই গা ঢাকা দিয়েছে কমল।
ধৃতদের নাম সামেদ খান (৫১), শেখ সেলিম (৩৫) ও চারু শেখ (২৭)। এদের মধ্যে সামেদ মুম্বইয়ের থানে ও সেলিম নিউ ইরানিচওলের বাসিন্দা। চারুর বাড়ি কালিয়াচকেরই আলিপুরে। ধৃত তিনজনকে শনিবার মালদহের ভারপ্রাপ্ত সিজেএম সুচিত্রা দেবের এজলাসে তোলা হয়েছিল। সরকারি আইনজীবী সার্থক দাস বলেন, ‘‘ধৃতদের ১৪ দিন হেফাজতের আবেদন করেছিল পুলিশ। বিচারক ১০ দিন মঞ্জুর করেন।’’ আদালতে তোলার সময় ধৃতরা অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
জানুয়ারি মাসে কালিয়াচকে হাঙ্গামা ও থানা ভাঙচুরের ঘটনায় আসাদুল্লা বিশ্বাসের নাম জড়িয়েছিল। ওই অভিযোগ সহ আরও একাধিক অভিযোগে সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে গ্রেফতারও করে জেলা পুলিশ। পরে সিআইডি তাঁর বাড়িতে হানা দিয়ে দেড় লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার করে। সিআইডি জানতে পারে, কালিয়াচকের জাল নোটের কারবারের মস্ত বড় চাঁই আসাদুল্লা। তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ) প্রয়োগও করেছে সিআইডি।
ধৃতদের কাছ থেকে যে এক লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে সেগুলি সবই এক হাজার টাকার। পুলিশের দাবি, ওই দু’জন দীর্ঘদিন ধরেই জাল নোট কারবারে জড়িত। কিছুদিন ধরে তারা ওই কমল বিশ্বাসের বাড়িতেই থাকছিল। তাঁদের সন্দেহ, পাঁচশো ও হাজার টাকার নোট যেহেতু আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে সে কারণে ওই দু’জন জাল নোটগুলি নিজেদের এলাকায় নিয়ে গিয়ে চালানোর মতলব করেছিল। কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘কেন ঠিক এই সময়ই মহারাষ্ট্রের ওই দুই বাসিন্দা এখানে এসেছে তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে।’’