jalpaiguri

প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি সংসারের বটগাছ, ঘুরে ঘুরে জামাকাপড় বেচে মেয়েদের পড়ার খরচ চালান মা

প্রায় ছ’বছর ধরে গ্ৰামগঞ্জের অলিগলি, হাটেবাজারে, বাড়ি বাড়ি ঘুরে জামাকাপড় বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। ঘরে স্বামী উপার্জনহীন। বাধ্য হয়েই সংসারের হাল ধরেছেন মেরুনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালবাজার শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ ১৫:১৬
Share:

বাধ্য হয়েই সংসারের হাল ধরেছেন মেরুনা। নিজস্ব চিত্র।

শত প্রতিবন্ধকতাতেও হার মানেননি জলপাইগুড়ির মালবাজারের মেটেলি ব্লকের উত্তর ধূপঝোরা এলাকার বাসিন্দা মেরুনা বেগম। গত প্রায় ছ’বছর ধরে গ্ৰামগঞ্জের অলিগলি, হাটেবাজারে, বাড়ি বাড়ি ঘুরে জামাকাপড় বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। ঘরে স্বামী উপার্জনহীন। বাধ্য হয়েই সংসারের হাল ধরেছেন মেরুনা।

Advertisement

তাঁর স্থায়ী কোনও দোকান নেই। মূলধনের অভাবে পরিচিতদের কাছে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে কোনওরকমে চালাচ্ছেন ছোট্ট ব্যবসা। রাজ্য সরকারের ঘোষিত ‘কর্মসাথী ঋণ প্রকল্প’ থেকে সাহায্য মেরুনার কপালে জোটেনি। বেসরকারি ঋণদান সংস্থাগুলিও ঋণ দিতে ভরসা পায় না। তার পরেও দাঁতে দাঁত চেপে লড়ে যাচ্ছেন মেরুনা। হার মানলে বন্ধ হয়ে যাবে তিন মেয়ের পড়াশোনা। জানেন মেরুনা। তাই প্রতিকূলতা সত্ত্বেও লড়াই জারি রেখেছেন তিনি।

মেরুনার কথায়, ‘‘হাটেবাজারে অস্থায়ী দোকান দিয়ে ও স্কুটি করে বাড়ি বাড়ি জামাকাপড় বিক্রি করছি। বর্তমানে মূলধনের অভাবে নতুন নতুন জামাকাপড় আনতে পারছি না। কেউ ঋণও দেয় না। ছ’ বছর ধরে এরকমই চলছে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: উলেন-পত্নীকে কেন্দ্রীয় কাজ?

রাজ্য সরকারের ‘কর্মসাথী ঋণ প্রকল্পের’ প্রসঙ্গ তুলতেই মেরুনা দেবী বলেন, ‘‘শুনেছি। তবে কোথায় কী ভাবে আবেদন করতে হবে, তা কেউ বলেননি। ওই ঋণ পেলে ব্যবসার আরও উন্নতি করতে পারব।’’ ইতিমধ্যেই সরকারি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: ডুয়ার্সেও ‘দাদার অনুগামী’দের পোস্টার, রং নিয়ে জল্পনা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement