শিলিগুড়ির পুজো কার্নিভাল। শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডে। ছবিঃ স্বরূপ সরকার।
শিলিগুড়ির পুজোর কার্নিভাল দেখতে উপচে পড়ল ভিড়। বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে শহরের হিলকার্ট রোড, হাশমি চক ও মহাত্মা গান্ধী মোড়ে কার্নিভাল দেখতে ভিড় করেন শহরবাসী। কিন্তু অনুষ্ঠান ঘিরে প্রথম থেকেই অব্যবস্থার অভিযোগ উঠেছে। যে কারণে অনেকেই কার্নিভালে এসেও রাস্তার দু’ধার থেকে শোভাযাত্রা দেখতেই পাননি বলে অভিযোগ। এমনকি, মঞ্চ থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকেরাও ঠিক মতো কার্নিভালের অনুষ্ঠান দেখতে পাননি বলে অভিযোগ।
গত বছর প্রথম কার্নিভাল ঘিরে চরম অব্যবস্থার অভিযোগ ছিল। বৃষ্টিতে কার্নিভালই ভেস্তে যায়। পরের বার তা শুধরে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তার পরেও দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ দিন বিকেল ৫টা থেকে কার্নিভাল শুরুর কথা থাকলেও শুরু হয়েছে প্রায় দেড় ঘণ্টা বাদে। এক-এক করে ক্লাবগুলির আসার কথা থাকলেও তা হয়নি। অনেক ক্লাবের ট্রাক, গাড়ি রাস্তায় আটকে ছিল। এর ফলে, কার্নিভালের অনুষ্ঠান মাঝেমধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়। কার্নিভাল শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই হাশমি চক, হিলকার্ট রোড ও মহাত্মা গান্ধী মোড়ে ভিড় করেন লোকজন। রাত বাড়তেই ভিড় আরও বাড়তে থাকে।
সন্ধ্যা থেকে অব্যবস্থার আরও ছবি কার্নিভালের মূল অনুষ্ঠান মঞ্চের আশপাশে নজরে পড়ে। প্রথমেই বিচারকদের আসন দর্শনার্থীরা দখল করে নেন। শেষে পুলিশ দিয়ে তা ফাঁকা করে বিচারকদের প্লাস্টিকের চেয়ারে বসানো হয়। পরে, অবশ্য তাঁরাও ভিড়ের জেরে সমস্যায় পড়েন। সংবাদমাধ্যমের বসার বন্দোবস্ত ছিল না। পরে, কয়েকটি চেয়ার দেওয়া হলেও তা দখল করে নেওয়া হয়। মাটিতে বসেই সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা কাজ করেন।
ভিড় এমন ভাবে মূল অনুষ্ঠান স্থলে এসে পড়ে, তাতে রাস্তাও সংকীর্ণ হয়ে যায়। যোগদানকারী ক্লাবগুলির অনুষ্ঠান করতেও কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হয় বলে অভিযোগ।
রশি দিয়ে বাসিন্দাদের আটকানো হলেও তাতে কাজ হয়নি। ট্র্যাফিক পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন। মূল অনুষ্ঠান স্থলের সামনে এতটাই ভিড় হয় যে পিছনে থাকা দর্শকেরা অনুষ্ঠান দেখতেই পাননি। কিন্তু সে ভিড় সরাতে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেই অভিযোগ। গত বছর একই সমস্যা থাকলেও, এ বারও সেদিকে নজর দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
মহাত্মা গান্ধী মোড়, জংশনে বড় স্ক্রিন লাগানো হয়েছিল। অনেকেই সেই স্ক্রিনে কার্নিভাল দেখেন। এ দিকে রাত ১০টার মধ্যে কার্নিভাল শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। অনেক রাত অবধি চলে অনুষ্ঠান। তবে শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘‘প্রচুর মানুষ কার্নিভাল দেখতে এসেছিলেন। ১০টি ক্লাব অংশ নিয়েছিল কার্নিভালে।
শহরবাসী অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন। আর বড় অনুষ্ঠানে কিছু অসুবিধা থাকেই।’’