কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে আর কোনওভাবেই ক্রিকেট যাতে না করা হয় তার দাবি জানিয়ে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল(সিএবি)-এর সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব তথা আইএনটিটিউসির জেলা সভাপতি অরূপরতন ঘোষ। রবিবার ইডেনে বিসি রায় ক্লাব হাউসে সিএবির জেলা কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানেই তিনি তাঁর বক্তব্য পেশ করেন। তাঁর দাবি, কাঞ্চনজঙ্ঘায় ক্রিকেট হবে না বলে সিএবি সভাপতির সম্মতি আদায় করা গিয়েছে।
স্টেডিয়াম কমিটি ও ক্রীড়া পরিষদের যৌথ ইচ্ছাতেই কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের পরিকাঠামো বদলে দিয়ে তা স্থায়ীভাবে ফুটবলের জন্য তৈরি করা হয়েছে। ফলে নর্থ বেঙ্গল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের সদ্য নিযুক্ত চেয়ারম্যান বাইচুং ভুটিয়া নতুন করে কাঞ্চনজঙ্ঘায় আইপিএল ও একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলায় ফাঁপড়ে পড়েছেন ক্রীড়া পরিষদের কর্তারা। ফলে এখন এই মাঠে ক্রিকেটের ম্যাচ যাতে না দেওয়া হয় তড়িঘড়ি সিএবিকে সেই দাবি জানিয়ে আগে থেকেই কথা পেড়ে রাখতে চাইছেন অরূপরতনবাবু। সিএবির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় স্বশাসিত ক্রীড়া সংস্থা যে সিদ্ধান্ত নেবে সিএবি-র তরফে সেটাই প্রাধান্য দেওয়া হবে। সিএবির সহ সভাপতি সুদীপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘মাঠের কী অবস্থা তা আমরা কেউ দেখিনি। তবে জেলা ক্রীড়া সংস্থাই সমস্ত আয়োজন করে।’’ তাঁদের সুবিধা-অসুবিধাই সিএবি প্রাধান্য দেবে বলে জানান তিনিও।
অরূপরতন ঘোষ বলেন, ‘‘কাঞ্চনজঙ্ঘায় এর আগে ক্রিকেট করার জন্য মাঠের চওড়া দিক ভেঙে নতুন করে ঘাস লাগাতে হয়েছিল। পরে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের নির্দেশে আন্তর্জাতিক ফুটবলের জন্য স্কোয়ার এলাকার ডিম্বাকৃতি অংশ ছেঁটে ফেলে সেখানে গ্যালারি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘এই মাঠে ক্রিকেট করতে হলে আবার সবকিছু নতুন করে করতে হবে।’’ ক্রিকেট খেলানো হলে তার জেরে অন্য প্রতিযোগিতা তথা ফেডারেশন কাপ, আই লিগ, এমনকী আইএসএলের জন্য প্রস্তুতিও ধাক্কা খাবে বলে তাঁর আশঙ্কা। তার ফলে হয়ত আর কোনওদিনই ফুটবলের বড় ম্যাচ পাওয়া যাবে না বলেও মনে
করেন তিনি।
ভাইচুংয়ের বক্তব্যের কোনও জবাব তিনি অবশ্য দিতে চাননি। তিনি জানান, ভাইচুংয়ের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হলেও এ বিষয়ে কোনও কথা তাঁর হয়নি। ভাইচুং এই মাঠের সমস্যার বিষয়ে বিলক্ষণ জানেন। তিনি বলেন, ‘‘এই মাঠেই সব খেলাই হতে পারে। বিশ্বে অনেক মাঠ রয়েছে যেখানে একাধিক খেলা হয়। সমস্যা কিছু নেই।’’ তিনি অরূপবাবুর সিএবির দ্বারস্থ হওয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।