জলপাইগুড়ি টাউন ক্লাব মাঠে চলছে খেলা। ছবি: রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জমজমাট খেলা। টানটান লড়াই। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের ম্যাচে শেষ অবধি হার মানল শিলিগুড়ির উল্কা। শেষ হাসি হাসল জলপাইগুড়ির মিলন সঙ্ঘ। ২-১ গোলে তারা হারিয়ে দিল শিলিগুড়ির উল্কা।
রায়কতপাড়া ইয়ং অ্যাসোসিয়েশন ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় জলপাইগুড়ি টাউন ক্লাবের মাঠে অনুষ্ঠিত নক-আউট ফুটবলে সোমবার মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই ক্লাব। ধারে ও ভারে দু’দলই বেশ শক্তিশালী। দার্জিলিং ও কার্শিয়াংএর পাহাড়ি ছেলেদের নিয়ে গড়া উল্কার খেলায় চোখে পড়েছে লড়াকু মনোভাব। পাস, গতি সবকিছু নিয়েই উল্কা সমৃদ্ধ ছিল। আবার, ঘানার এক, নাইজিরিয়ার তিন ও দুজন কলকাতার এরিয়ান্সের খেলোয়াড় নিয়ে গড়া মিলন সঙ্ঘও ওজনদার দল। তাই খেলা শুরু থেকেই ছিল টানটান।
খেলা শুরু হওয়ার ১৫ মিনিটের সময় উল্কার সজল শ্রেষ্ঠের একটি শট গোলকিপার আটকালেও বল হাত থেকে বার হয়ে আসলেও উল্কার খেলোয়াড়রা তার সদ্বব্যবহার করতে পারেননি। এরপর ২২ মিনিটের সময় মিলন সঙ্ঘের জোসেফ ইরুর শট উল্কার গোলকিপারকে পরাস্ত করে বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ৩০ মিনিটে বিশাল রাইয়ের ফ্রি-কিক মিলন সঙ্ঘের গোলকিপার ফিস্ট করে উড়িয়ে দেয়। ৩৩ মিনিটের মাথায় মিলন সঙ্ঘের আলুচুকু গোলের সামনে গেলে উল্কার গোলকিপার আটকে দেন। প্রথমার্ধের খেলা গোলশূন্যভাবে শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর পাঁচ মিনিটের মাথাতেই উল্কার লেফট উইঙ্গার বাঁদিক থেকে একটি বল পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ঠেলে দেন। সেই বল ধরে সজল শ্রেষ্ঠ গোলে শট নিলে গোলকিপার পরাস্ত হন। পরের মিনিটেই আবার চমক! মিলন সঙ্ঘের ড্যানিয়েল ইরু জটলার মধ্যে থেকে বল বার করে নিয়ে উল্কার গোলে বল ঠেলে দেন। গোল শোধ হয়ে যায়। খেলা চলতে থাকে সমানে সমানে। দ্বিতীয়ার্ধে ১৮ মিনিটে উল্কার রক্ষণভাগের খেলোয়াড় বিক্রম লিম্বু মিলন সঙ্ঘের আলুচুকুকে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। জোসেফ ইরু পেনাল্টিতে গোল করেন। তারপরই গোল শোধ করতে তেড়েফুঁড়ে ওঠে উল্কার পাহাড়ি বিছেরা। তারা ক্রমাগত আক্রমণ চালাতে থাকে। খেলার শেষ ১৫ মিনিট বল সবসময় মিলন সঙ্ঘের গোলের কাছেই ছিল। তবে বারবার হানা দিলেও কাজের কাজটি করতে পারেনি উল্কা। ম্যাচ হেরেই তাদের মাঠ ছাড়তে হয়। এ দিনের খেলার শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় নির্বাচিত হন উল্কার নগেন্দ্র লিম্বু।