—নিজস্ব চিত্র।
পথচলতি মোটরবাইক আটকে মামলা রুজু করার ভয় দেখিয়ে চালকের থেকে ঘুষ নিচ্ছে পুলিশ। সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিয়ো ঘিরে জলপাইগুড়ির পুলিশের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। যদিও ওই ভিডিয়োকে প্রমাণ হিসাবে মেনে নিতে নারাজ জেলার পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। তবে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে দোষীদের শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
ধূপগুড়ি স্টেশন মোড় এলাকায় বাইকচালকের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া হচ্ছে— বৃহস্পতিবার এ রকম একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের অন্দরে শোরগোল শুরু হয়েছে। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। অভিযোগ, এশিয়ান হাইওয়ে বা এএইচ-৪৮ এলাকায় ওই বাইকটি আটক করা হয়। চালকের সঙ্গে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় সেখানকার এক পুলিশ আধিকারিক বাইকটি থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেন। বাইকচালক প্রথমে ৮০০ টাকা ঘুষ দিতে চাইলে তা নিতে অস্বীকার করেন ওই আধিকারিকের পাশে বসা এক ব্যক্তি। সাদা পোশাকে সেখানে কর্তব্যরত ওই ব্যক্তি আসলে পুলিশকর্মী বলে দাবি। ঘুষ নিয়ে দরদামে না পোষানোয় বাইকটি সেখানে রেখে যেতে বলেন পুলিশ আধিকারিক। তাঁর কাছ থেকে আরও টাকা চায় পুলিশ। পরে ২০০ টাকা বাড়িয়ে মোট এক হাজার টাকা ঘুষ দিলে চালককে ছেড়ে দেওয়া হয়। চালকের পাশে থাকা এক যুবক গোটা ঘটনাটি মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করেন।
ভিডিয়োর কথোপকথন—
পুলিশের পাশে বসা ব্যক্তি: এ টাকায় হবে না। (বাইকচালককে টাকা ফেরত দিতে চেয়ে) এটা আপনি রেখে দিন। না না, এটা (টাকা) আমি নেব না।
পুলিশ আধিকারিক: (চালকের উদ্দেশে) ড্রাইভিং লাইসেন্সই তো নেই। লাইসেন্স ছাড়া আমি গাড়ি কী করে ছেড়ে দেব? তা হলে আমার কাজ হল থানায় গাড়ি নিয়ে রাখা।
বাইকচালক: কত দেব?
পুলিশের পাশে বসা ব্যক্তি: দিন, কী দেবেন দিন।
বাইকচালক: তা হলে হাজার টাকা নিন।
এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই অস্বস্তিতে জেলা পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ‘‘আমাদের কাছে এ নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে ঘটনার তদন্ত হবে। অনেক কিছুই তো ভাইরাল হয়, কিন্তু তা কোনও প্রমাণ নয়। তদন্তে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’