ময়লা রুখতে হবে জরিমানা

নোংরা-আবর্জনা নিয়ে জলপাইগুড়ি শহরে অভিযোগ অনেক৷ শহরের নানা জায়গাতেই বিভিন্ন সময়ে নোংরা আবর্জনা ঢিবি হয়ে পড়ে থাকে৷ দুর্গন্ধে টেকা দায় হয় সেই সব এলাকার মানুষদের৷ বাজার সংলগ্ন এলাকায় এই সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৭ ১২:৩০
Share:

নোংরা-আবর্জনা নিয়ে জলপাইগুড়ি শহরে অভিযোগ অনেক৷—ফাইল চিত্র।

বাড়ির বাইরে রাস্তা বা নর্দমায় নোংরা ফেললেই দিতে হবে জরিমানা৷ শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে এ বার এমনই দাওয়াই আনার সিদ্ধান্ত নিল জলপাইগুড়ি পুরসভা৷ যদিও পুরকর্তারা জানিয়েছেন, এই নিয়ম চালুর আগে দিন সাতেক শহর জুড়ে প্রচার চালিয়ে বাসিন্দারা যাতে রাস্তায় বা নর্দমায় নোংরা না ফেলেন সে ব্যাপারে সচেতন করা হবে৷ তারপর থেকে শুরু হবে এই কড়াকড়ি৷

Advertisement

নোংরা-আবর্জনা নিয়ে জলপাইগুড়ি শহরে অভিযোগ অনেক৷ শহরের নানা জায়গাতেই বিভিন্ন সময়ে নোংরা আবর্জনা ঢিবি হয়ে পড়ে থাকে৷ দুর্গন্ধে টেকা দায় হয় সেই সব এলাকার মানুষদের৷ বাজার সংলগ্ন এলাকায় এই সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি৷ এমনকী, অনেক সময়ই সকালে পুরসভার সাফাই কর্মীরা ভ্যান নিয়ে বাড়িতে না আসায় অনেক বাসিন্দাই রাস্তার পাশে বা নর্দমাতে নোংরা আবর্জনা ফেলতে বাধ্য হন৷

জলপাইগুড়ি শহরে এ বার এর পরিবর্তন চাইছেন পুরকর্তারা৷ খুব শীঘ্রই জলপাইগুড়িতে চালু হতে চলেছে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট৷ সেজন্য ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে বারো কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে৷ তবে তা পুরোপুরি চালু হওয়ার আগেই শহরের বুকে যত্রতত্র নোংরা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে চাইছে পুরসভা৷ চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে পুরসভার সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। সাতদিন প্রচারের পরেও যদি দেখা যায় কেউ রাস্তার ধারে নোংরা-আবর্জনা ফেলছেন তাহলে জরিমানা করা হবে৷ জরিমানার অঙ্ক কী হবে সে ব্যাপারে দুই-একদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷’’ পুরসভার কর্তারা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা পুরকর্মীদেরই বিষয়টির ওপর নজরদারি চালাতে বলা হবে৷ নজর রাখবে ওয়ার্ড কমিটিও৷ পরবর্তীতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে৷

Advertisement

বিরোধী কংগ্রেস কাউন্সিলররা পুরসভার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ দলের কাউন্সিলর পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে পুরসভা যে যে পদক্ষেপ করবে তাকেই আমরা সমর্থন করব৷ তাঁর কথায়, ‘‘জলপাইগুড়ি শহরটা শুধুমাত্র ২৫ জন কাউন্সিলরের নয়৷ শহরটা সবার৷ শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্বও সবার৷ সেক্ষেত্রে বুঝিয়ে কাজ না হলে অবশ্যই জরিমানা হওয়া উচিত৷’’ সিপিএম কাউন্সিলর প্রদীপ দে বলেন, ‘‘আলোচনা হয়েছে, সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প চালুর পর সর্বত্র বাড়ি গিয়ে নোংরা আনার পরিষেবাটা আগে নিশ্চিত করা হবে৷ তারপরও কেউ রাস্তায় নোংরা ফেললে জরিমানা হবে৷ এতে আপত্তি নেই৷ কিন্তু পরিষেবা পুরোপুরি চালু না করেই জরিমানা করলে আমরা বিরোধিতা করব৷’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement