বিশ্ব পর্যটন দিবসে ট্রয় ট্রেনে সফর শিলিগুড়িতে। ছবি: বিনোদ দাস।
বিশ্ব পর্যটন দিবস উদ্যাপনের ঢল উত্তরবঙ্গে। এ দিন চা পর্যটনে জঙ্গলকে অন্তর্ভুক্ত করার সরকারি ঘোষণা করা হয় জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের দফতরে। অন্য দিকে, টয় ট্রেনে শিলিগুড়ির জংশন স্টেশন থেকে সুকনা স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয় স্কুলপড়ুয়াদের। এ দিন সকালে বাঘাযতীন পার্ক থেকে একটি শোভাযাত্রা বার হয়। উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা। বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারাও অংশ নেয় শোভাযাত্রায়।
জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের পর্যটন বিভাগ চা বাগান ঘোরাতে নিয়ে যায় পর্যটকদের। এ বার তার সঙ্গে যুক্ত হল জঙ্গলও। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বাসে চেপে জলপাইগুড়ি থেকে চা বাগান দেখিয়ে লাটাগুড়ি নিয়ে যাওয়া হবে পর্যটকদের। সেখান থেকে জিপসিতে চাপিয়ে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে নেওড়া জঙ্গল ক্যাম্পে। কিছুক্ষণ সেখানে কাটিয়ে ফের জিপসিতে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে নিয়ে আসা হবে লাটাগুড়িতে। চা ভ্রমণে এই জঙ্গল সাফারির সুযোগের ঘোষণা কর হল বুধবার বিশ্ব পর্যটন দিবসে। জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দফতরে এই ঘোষণার আগে জলপাইগুড়ি পর্যটন বিষয়ক তথ্যসম্বলিত একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেন জেলাশাসক শামা পারভিন। চা পর্যটনে জঙ্গলের সঙ্গে রাখা হয়েছে ঐতিহ্য সার্কিটও। জল্পেশ, জটিলেশ্বর এবং ভ্রামরী দেবীর মন্দির এবং লাগোয়া এলাকাও পর্যটকদের ঘুরিয়ে দেখানো হবে। পর্যটনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রিয়দর্শিনী ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পুজোর আগে থেকেই জঙ্গল ভ্রমণ শুরু হয়ে যাবে।’’ এ দিন পর্যটন তথ্য এবং ভ্রমণের সুযোগ জানানোর জন্য ‘এক্স হ্যান্ডেল’ উদ্বোধন করেন জেলাশাসক।
এ দিন টয় ট্রেনে সফরের ব্যবস্থা করে ‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজ়িম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’। সংগঠনের তরফে সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘প্রতি বছরের মতো পর্যটনের সঙ্গে জড়িতদের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।’’ এ দিন এনজেপি স্টেশনে টয় ট্রেনের যাত্রীদের সংবর্ধনা দেয় ‘নর্থ বেঙ্গল ইন্ড্রাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন’।