প্রশ্নোত্তর পর্বে ইসরো-র তীর্থপ্রতীম দাস। শুক্রবার শিলিগুড়িতে। ছবি: স্বরূপ সরকার।
চাঁদের যে জায়গায় চন্দ্রযান-৩ নেমেছিল সেটা কি চাঁদের স্থায়ী ছায়া-অঞ্চল! প্রশ্ন ছুড়ে দিল মাটিগাড়ার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী রাজময়ী সেনগুপ্ত। উদ্যোক্তা গ্রুপের একটি স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র আদিত্যকুমার তেওয়ারির প্রশ্ন, চাঁদে জল কি রয়েছে! কেউ প্রশ্ন করছিল চাঁদের উপরটা কেমন? ছায়া-অঞ্চল আসলে কী? আর এ সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন তিনি, তীর্থপ্রতিম দাস। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) সায়েন্স প্রোগ্রাম অফিসের ডিরেক্টর। চন্দ্রযান-৩-এর সফল অবতরণের অন্যতম বিজ্ঞানী।
শুক্রবার শিলিগুড়ির সুকনার কাছে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং তাদের স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে ‘ন্যাশনাল স্পেস ডে’ পালনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে তিনি চাঁদে পাড়ি দিতে ভারতের অভিযান, উৎসাহ, চাঁদের বুকে নানা রহস্য ও তার বিজ্ঞান এবং সম্ভাবনার কথা শোনান। ছিলেন নর্থ ইস্টার্ন স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার তথা কলকাতায় রিজিওনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের পূর্বাঞ্চল কলকাতার ডিজিএম সুপর্ণ পাঠক।
তাঁদের কথা শুনে পড়ুয়াদের বিস্ময় বেড়ে যায়। তীর্থপ্রতিম দাসের ঘণ্টাখানেকের বক্তব্যে চাঁদের অনেক রহস্য ভেসে ওঠে পড়ুয়াদের চোখের সামনে। উৎসাহীদের বিভিন্ন ছবির ‘স্লাইড’ দেখইয়ে ফটো তুলে রাখতে বলেন। কখনও ভাবনাচিন্তা করতে বলে পড়ুয়াদের উৎসাহ জোগালেন। চাঁদের ছায়া অঞ্চল নিয়ে বলেন, ‘‘সময় যেন এখানে থমকে রয়েছে।’’ বোঝালেন, সৌরশক্তি থেকে নানা ক্রিয়া শুরু হয়। তাই আলো না থাকা মানে, সেখানে কোনও ক্রিয়া হচ্ছে না। সময় এগোচ্ছে না। যা যেমন ছিল, তেমনই রয়েছে। চাঁদের ‘সাউথ পোল’ এ রকম ছায়া-অঞ্চল। যা শুনে বিস্মিত ছাত্রী রাজময়ীর প্রশ্ন, চন্দ্রযান কি ছায়া-অঞ্চলেই নেমেছিল! বিজ্ঞানী বলেন, ‘‘না! চন্দ্রযান যেখানে নেমেছিল ৬৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছিল। সেটি স্থায়ী ছায়া-অঞ্চল নয়।’’
উৎসাহী পড়ুয়াদের মহাকাশ গবেষণার বিভিন্ন বই পড়তে বললেন তিনি।
কর্মসূচিতে হাজির ছিল শিলিগুড়ি বিভিন্ন স্কুলের শতাধিক পড়ুয়া। উদ্যোক্তাদের তরফে এ দিনের কর্মসূচির যুগ্ম কোঅর্ডিনেটর নন্দিতা নন্দী ও বনানী অধিকারী জানান, এ ধরনের কর্মসূচির মধ্য দিতে পড়ুয়াদের মহাকাশ বিষয়ে উৎসাহ দেওয়া হল। অনেক পড়ুয়াই উৎসাহী।
এ সব শুনলে, তাদের ভাবনার জগৎ তৈরি হবে।