প্রস্তুতি: ইসলামপুরে। নিজস্ব চিত্র
আজ, রবিবার ইসলামপুর বিধানসভা উপনির্বাচন। শনিবার তার প্রস্তুতিতে প্রশাসনিক তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে ইসলামপুরের একটি বুথে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছিল। ভাঙচুর করা হয়েছিল প্রার্থীর গাড়িও। আক্রান্ত হয়েছিল সংবাদমাধ্যমও। সেখানে পুনর্নির্বাচন করতে হয়েছিল। এই পরিস্থিতির পর উপনির্বাচন নির্বিঘ্নে করানো বড় চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কাছে।
একশো শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই ভোট হতে চলেছে। গত কয়েক দিন ধরেই নাকা চেকিং চলছে। শনিবার সকাল থেকেই তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। লাগোয়া বিহার সীমানায় কড়া তল্লাশি চলছে। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে কাছাকাছি বাংলাদেশ সীমান্তে। পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি বুথে পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের একজন করে কর্মী। ইসলামপুরের উপনির্বাচনে দশ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আনা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য অর্ধেক সেকশন (চার জন) কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে একজন লাঠিধারী পুলিশকর্মী থাকছেন। এছাড়া নির্বাচন পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাঁচটি ‘কুইক রেসপন্স টিম’ থাকছে সেখানে। সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে ‘কুইক রেসপন্স টিমে’ রাজ্য পুলিশের একজন আধিকারিক ও এক সেকশন (৮ জন) কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ছিল। এবার তার পরিবর্তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর একজন করে অফিসার, সঙ্গে এক সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। তৈরি থাকছে ১৮টি পুলিশের সেক্টর বাহিনী ও দু’টি আরটি মোবাইল টিম। পুরোটাই রাজ্য পুলিশ কর্মীদের নিয়ে তৈরি।
ইসলামপুর কলেজ মাঠে তৈরি করা হয়েছে বিধানসভা উপনির্বাচনের ডিসিআরসি সেন্টার। শনিবার সকাল থেকেই ভোটকর্মীরা পৌঁছে গিয়েছেন সেখানে। ইসলামপুর বিধানসভায় মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ২১৭টি। প্রতিটি কেন্দ্রে বিকেলের মধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন ভোটকর্মীরা।
সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে ইসলামপুরে একাধিক কেন্দ্রে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। সেখানে ইসলামপুর বিধানসভা এলাকারই পাটাগোড়া কেন্দ্রে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ পেয়ে দেখতে গিয়ে আক্রান্ত হন লোকসভার প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হয় সংবাদ মাধ্যম। ইসলামপুরের রামগঞ্জ এলাকার ঢলুগছেও ছাপ্পা ভোটের ভিডিও ভাইরাল হয়। তিনটি বুথে পুনর্নির্বাচন হয়। এবারও ছাপ্পা ভোটের আশঙ্কা করছে বিরোধীরা। শাসক দল অবশ্য অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।