কানাইলাল আগরওয়াল
দিন ঘোষণা না হলেও জোর কদমে চলছে পুরনির্বাচনের প্রস্তুতি। অন্যান্য জেলার মতো নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে ইসলামপুর শহরেও। তাই তুঙ্গে উঠেছে প্রার্থী বাছাই নিয়ে জল্পনা। আর এর মধ্যেই বিজেপির চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কে হচ্ছেন—তা নিয়েও চায়ের কাপ উঠেছে তুফান। বিজেপি সম্প্রতি শক্তিশালী হলেও দীর্ঘদিন ধরেই ইসলামপুর দখলে রেখেছে তৃণমূলের এই পুরবোর্ড। আর দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে ইসলামপুর পুরসভা চেয়ারম্যানও রয়েছেন কানাইলাল আগরওয়ালই। কাজেই হেভিওয়েট কানাইয়ার বিরুদ্ধে কে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হবেন—সে বিষয়টিও ভোটে অনেকটাই প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহলও। যদিও বিজেপির দাবি, প্রার্থীরা প্রত্যেকেই চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্য। আর সেইভাবেই লড়াইয়ে নামতে চলেছে তারা।
গত পুরসভা নির্বাচনে ইসলামপুর পুরসভা দখল করেছিল কংগ্রেস। যদিও কংগ্রেস কাউন্সিলরদের একটা বড় অংশ তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সেই পুরবোর্ডটি এখন তৃণমূলের দখলে রয়েছে। তৃণমূলের একাংশ নেতা জানালেন, এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান কানাইলাল আগরওয়ালকে সামনে রেখেই লড়াই করতে চলেছেন তাঁরা। ইসলামপুর পুরসভার কাউন্সিলর তথা তৃণমূলের ইসলামপুর টাউন সভাপতি মানিক দত্ত বলেন, ‘‘কানাইয়ালাল সব সময় মানুষের পাশে দাঁড়ান। আমরা আশাবাদী মানুষ আমাদের যোগ্য জায়গায় বসাবেন।’’
উল্টো দিকে এখনও পুরনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে বিজেপির তরফে সেভাবে কাউকে তুলে ধরা হয়নি। দল সূত্রে খবর, যদিও এলাকায় বিজেপির শক্তি বেড়েছে, কিন্তু কানাইয়ার উল্টোদিকে তাঁর সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর নিতে পারেন—এমন কাউকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী করা গেলে পুরনির্বাচনে আখেরে লাভ হবে বিজেপিরই। অনেকেই দাবি করেছেন, এই যোগ্য প্রার্থী বা ‘মুখ’ মিলবে কিনা, তার উপরও নির্ভর করছে বিজেপির ভোটভাগ্য।
তৃণমূল যখন দীর্ঘদিনের পুরপ্রধানের নেতৃত্বেই ভোটে লড়াই করতে তৈরি তখন বিরোধীদের গলায় অবশ্য শোনা গেল অন্য সুর। এতদিনের পুরসভায় ইসলামপুরে কোনও উন্নয়নে নজরে পড়েনি বলেই দাবি তুলেছে বিজেপি এবং অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও। বিজেপির নেতৃত্বের দাবি, কোনও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নয়, মানুষ যাকে যোগ্য মনে করবেন তিনিই চেয়ারম্যান হবেন। গত পুরসভা ভোটে ইসলামপুর পুর এলাকায় চারটি আসন বিজেপি দখল করলেও পরে দু’জন তৃণমূলে যোগ দেন। তাই প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়ে এ বার তারা সচেতন হবেন, জানালেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির ইসলামপুর টাউন সভাপতি সন্দীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রার্থীই চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্য। এলাকার মানুষ আমাদের সমর্থন করলে, তাঁদের জন্য কাজ করার সুযোগ দিলে যোগ্য লোকই চেয়ারম্যান পদে বসবেন।’’