সংবর্ধনা সভা। ডালখোলায় শনিবার। নিজস্ব চিত্র
উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূলের বিভিন্ন ব্লকের সভাপতি-সহ শাখা সংগঠনগুলোর সভাপতিদের সংবর্ধনা সভায় ফের যেন ধরা পড়ল দলের ‘অন্তর্দ্বন্দ্বের’ ছবি। জেলায় তৃণমূলের নয় বিধায়কদের মধ্যে চার জন সভায় অনুপস্থিত থাকায়, দলের একাংশ ‘দ্বন্দ্ব’ নিয়ে ‘ধন্দে’ পড়েছেন।
শনিবার ডালখোলায় ওই সংবর্ধনাসভায় ছিলেন দুই মন্ত্রী গোলাম রব্বানি ও সত্যজিৎ বর্মণ, করণদিঘির বিধায়ক গৌতম পাল, কালিয়াগঞ্জের সৌমেন রায়, চাকুলিয়ার মিনহাজুল আরফিন আজাদ। তবে ইসলামপুরের আব্দুল করিম চৌধুরী, চোপড়ার হামিদুল রহমান, রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণী এবং ইটাহারের মোশারফ হোসেন সভায় ছিলেন না।
দিন কয়েক আগেই ব্লক সভাপতি পদে লোক বাছা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন করিম। এ দিন বহু চেষ্টাতেও ফোনে তাঁর সঙ্গে যোগযোগ করা যায়নি। মেসেজের উত্তর মেলেনি। তবে তাঁর ছেলে ইমদাদ চৌধুরী দাবি করেন, ‘‘বাবাকে ওই অনুষ্ঠানে ডাকা হয়নি।’’
মোশারফ জানান, তিনি দলের একটি যোগদান কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। কৃষ্ণের দাবি, তিনি পূর্ব নির্ধারিত দলীয় কর্মসূচিতে রয়েছেন। হামিদুল বলেন, ‘‘দলের একটা মিছিলে রয়েছি।’’ কেন্দ্রীয় ভাবে যেখানে জেলায় দল সংবর্ধনা কর্মসূচি নিয়েছে, সেখানে একই দিনে তিন বিধায়ক আলাদা কর্মসূচিতে থাকলেন কেন সে প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘দলের সব বিধায়ককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে বিধায়কদের সংবর্ধনা ছিল না। প্রতি ব্লকের নতুন কমিটির সভাপতিরা ছিলেন।’’ তাঁর সংযোজন: ‘‘কোন্দলের ব্যাপার নেই। করিম সাহেব কেন এলেন না, উনিই বলতে পারবেন।’’