ফের ব্লেড চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন বিচারাধীন বন্দি পিঙ্কু মিঁয়া। বৃহস্পতিবার কোচবিহার জেলা আদালতে শুনানি চলাকালীন তিনি শরীরে ব্লেড চালাতে শুরু করেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপত্তা কর্মীরা কোনও রকমে ওই বিচারাধীন বন্দিকে নিরস্ত করেন। সেখান থেকে তাকে কোচবিহার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গত মাসেও একবার শুনানি চলাকালীন আদালতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল ওই বন্দি।
এ দিন কোচবিহারের অ্যাডিশনাল সেশন জজ ফাস্ট কোর্টে ওই শুনানি পর্ব চলছিল। আদালত সূত্রের খবর, শুনানি পর্ব শুরুর আগে পিঙ্কু-সহ কয়েকজনকে আদালতে আনা হয়। অন্য বিচারাধীন বন্দিদের সঙ্গেই কোর্ট লকআপে বসিয়ে রাখা হয়েছিল পিঙ্কুকে। শুনানি প্রক্রিয়া শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে শরীরে ব্লেড চালাতে শুরু করেন পিঙ্কু । রক্তে ভেসে যায় তাঁর ঘাড়, পিঠ ও পেট। কোচবিহার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। গত অক্টোবরে ওই ব্যাক্তি যখন আদালত চত্বরে পুলিশ লকআপে ব্লেড চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন, সেসময় কী ভাবে বিচারাধীন বন্দির কাছে ব্লেড এল, সেই প্রশ্ন উঠেছিল। ফের আদালতে শুনানি চলার সময়ে ওই যুবক এমন কাণ্ড করায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আইনজীবীমহলে ক্ষোভ বেড়েছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “পুরো বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ওই বিচারাধীন বন্দির বাড়ি দিনহাটায়। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে মাদক চক্রে জড়িত সন্দেহে দিনহাটা থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।