প্রতীকী ছবি।
আশঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে। গত বছর করোনার মধ্যে সংক্রমণ সে ভাবে না ঘটলেও এ বছর কার্যত থাবা বসাতে চলেছে ডেঙ্গি। মঙ্গলবার নতুন করে ৬ জনের শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে রক্তের নমুনা পরীক্ষায়। সেগুলির একাংশ দার্জিলিং জেলার বলেই জানিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশ। তাঁরা জানান, সব মিলিয়ে দার্জিলিং জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ ছুঁতে চলেছে। সংক্রমণ সব চেয়ে বেশি সমতল লাগোয়া কার্শিয়াং মহকুমার দুধিয়ায়। তা ছাড়া মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি,
ফাঁসিদেওয়া, বিধাননগর, খড়িবাড়ির মতো বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গি ছড়াতে শুরু করেছে। করোনার মধ্যে ডেঙ্গি ব্যাপক আকার নিলে তা বিপজ্জনক হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একাংশ।
দুধিয়ায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ জনের মতো। দুধিয়ায় ডেঙ্গি নিয়ে আশঙ্কার কথা সবার আগে আনন্দবাজার পত্রিকাতেই খবর হিসেবে প্রকাশিত হয়। তাতে বলাও হয়েছিল, দুধিয়ার যা পরিস্থিতি এবং আরও কয়েকটি জায়গার যে অবস্থা তাতে দ্রুত সর্তক না হলে ডেঙ্গি ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। তার পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। পরে অন্যান্য সংবাদমাধ্যমেও তা প্রকাশিত হওয়ার পর চাপ সৃষ্টি হয়। এখন করোনা সংক্রমণ কম থাকায় ডেঙ্গি প্রতিরোধে নজর দেওয়ার সময় সুযোগ রয়েছে বলে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একাংশ মনে করছেন।
মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে জেলার বিভিন্ন ব্লক, পুর প্রশাসনকে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ে সোমবারই ভিডিয়ো কনফারেন্সে জেলার বিভিন্ন ব্লকের স্বাস্থ্য এবং প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক এস পুন্নমবলম। এ দিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক জানান, মেডিক্যালে ৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ডেঙ্গি জীবাণু মিলেছে। জনস্বাস্থ্য দফতরের উত্তরবঙ্গের ওএসডি সুশান্ত রায় বলেন, ‘‘দার্জিলিং জেলার বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গি মিলছে। প্রতিরোধের কাজের জন্য বলা হয়েছে। নিয়মিত নজরদারি রাখতে হবে। প্রয়োজনে সমস্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।’’
বেশি না হলেও শিলিগুড়ি শহরেও কয়েকজনের ডেঙ্গি মিলেছিল। তাই পুর বা পঞ্চায়েত এলাকা সব ক্ষেত্রেই বাসিন্দাদের সচেতনতার উপর জোর দিয়েছেন ওএসডি। দুধিয়ায় বিভিন্ন বাড়ির ছাদে জল জমে থাকার বিষয়টি সামনে এসেছে। তাতেই ডেঙ্গির বাহক এডিস এলবোপিক্টাস জন্মাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ওএসডি জানান, মানুষকে সজাগ হতে হবে। বাড়ির আশেপাশে যাতে জল জমে না-থাকে তা দেখতে হবে। মশারি টাঙিয়ে শুতে হবে। সরকারের পক্ষে সব সম্ভব নয়। মানুষকেও সাবধান হতে হবে।