ধনিরামপুরে সেলিম, তৃণমূলও

খুনিদের ধরতে দাবি

কোচবিহারে ময়নাতদন্তের পর তদন্তকারীদের একাংশও সন্দেহ প্রকাশ করেন নাবালিকাকে ধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছে। যার জেরে গোটা ঘটনার তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই ঘটনায় আসল দোষীদের কাউকেই এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। যার জেরে ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার, ফালাকাটা শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:৪৭
Share:

ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নামেন আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূল নেতারাও। প্রতীকী চিত্র।

গড়া হয়েছে ‘সিট’ বা বিশেষ তদন্তকারী দল। তারপরেও ধনিরামপুরে নাবালিকা খুনের ঘটনায় ‘আসল অপরাধীরা’ এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। শুক্রবার নিহত নাবালিকার বাড়িতে গিয়ে ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির পক্ষে সওয়াল করেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবিতে এ দিন এলাকার রাস্তায় নামেন আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূল নেতারাও।

Advertisement

সোমবার, নবমীর রাতে বাড়ির কাছে পুজো মণ্ডপে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল দশ বছরের ওই নাবালিকা। পরদিন সকালে মণ্ডপ থেকে খানিকটা দূরে একটি সেচখালের ধার থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার বাবা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশও নাবালিকার বাবা মৃতদেহে দাগ ও পোশাকে রক্তের চিহ্ন দেখতে পায়। কোচবিহারে ময়নাতদন্তের পর তদন্তকারীদের একাংশও সন্দেহ প্রকাশ করেন নাবালিকাকে ধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছে। যার জেরে গোটা ঘটনার তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই ঘটনায় আসল দোষীদের কাউকেই এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। যার জেরে ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় নাবালিকার বাড়িতে যান সেলিম। নাবালিকার বাবা-মা ও অন্যান্য আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে সেলিম বলেন, “এই ঘটনায় আসল অপরাধীরা ধরা না পড়লে সেই সব অপরাধীদের বুকের পাটা যেমন বাড়বে, তেমনি ভবিষ্যতে কোনও শিশু আর উৎসব প্রাঙ্গণে যাবেনা। তাহলে দেশে কোন উৎসবও হবেনা। কারণ শিশুদের কোলাহল ছাড়া কোনও উৎসব হয়না। স্থানীয়রা বলছেন, পুলিশ দৌঁড়ঝাপ করছে। কিন্তু পুলিশ যদি ঘুমিয়ে থাকে তাহলে সমস্ত মানুষকে নিয়ে আমরা থানায় যাব। দরকারে জেলা পুলিশের কর্তাদের কাছে যাব।”

Advertisement

সেলিম নাবালিকার বাড়িতে যাওয়ার আগেই, এ দিন দুপুরে ওই বাড়িতে যান আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ওই দলে তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী, ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালী রায়, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি নূরজাহান বেগম, আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সন্তোষ বর্মণরা ছিলেন। তাঁরাও নাবালিকার বাবা-মা ও আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে খগেনহাটে আয়োজিত একটি মৌনী মিছিলে যোগ দেন দুই জেলার তৃণমূল নেতারা। মিছিল শেষে মৃদুল বলেন, “আমরা চাই খুব শীঘ্রই এই ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীরা গ্রেফতার হোক। পুলিশের প্রতি বিশ্বাস রয়েছে।”
আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, “তদন্ত সঠিক পথে এগচ্ছে। তদন্তে বেশ কিছু সূত্রও মিলেছে। আমরা অবশ্যই প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement