প্রতীকী ছবি
প্রশ্নফাঁস রুখতে মাধ্যমিকের মতো উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাতেও মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরের ১০টি ব্লকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখল প্রশাসন।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্লকগুলিতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল। তার জেরে দুই জেলা ও দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে প্রশ্নফাঁসের কোনও অভিযোগ মেলেনি বলে প্রশাসনের দাবি।
এ দিকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় সমস্যা পড়তে হয় বিভিন্ন মোবাইল পরিষেবা সংস্থার হাজার হাজার গ্রাহককে। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরব হয়েছেন অনেকে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখে এ দিন সাফল্য পেলেও বাকি পরীক্ষাগুলিতে সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে তো? সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। প্রশাসনের দাবি, প্রশ্নফাঁস রুখতে এই পদক্ষেপ পরীক্ষার সব দিনেই করা হবে।
এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীনও মালদহ ও দুই দিনাজপুর জেলার বেশিরভাগ ব্লকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছিল প্রশাসন। কিন্তু অভিযোগ, তার পরেও প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষা শুরুর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে শুরু করে বে অভিযোগ। তা নিয়ে জেলায় জেলায় হইচই বাঁধে। মালদহ থেকে সেই প্রশ্ন ছড়িয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। যদিও প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি মানতে চায়নি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় পুলিশি তদন্ত চলছে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, গৌড়বঙ্গের তিন জেলার মধ্যে মালদহের কালিয়াচক ১, ২ ও ৩ ব্লক, রতুয়া ১ ও ২ ব্লক ও মানিকচক ব্লকে, উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর মহকুমার ইসলামপুর, করণদিঘি, চাকুলিয়া ও গোয়ালপোখর ব্লকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নটা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল। এ দিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষা হয়েছে।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের মালদহ জেলার যুগ্ম-আহ্বায়ক অমল ঘোষ বলেন, ‘‘প্রশ্নফাঁস সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ জেলায় নেই। ইন্টারনেট পরিষবা কিছু ব্লকে বন্ধ ছিল।’’
কালিয়াচকের এক ব্যবসায়ী আনেকুল ইসলাম বলেন, ‘‘এখন বিভিন্ন কাজ অনলাইনে চলে। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য প্রায় চার ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় ব্যবসায় ক্ষতি হল।’’ জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশেই ইন্টারনেট পরিষেবা পরীক্ষা চলাকালীন বন্ধ করা হয়েছে।’’
এ দিন ওই সময়েই ইসলামপুর শহরেও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল। মহাকুমার কয়েকটি এলাকাতেও একই পরিস্থিতি ছিল। ইসলামপুর কলেজ সংলগ্ন এলাকার এক ব্যবসায়ী রাজা রায় বলেন, ‘‘মাধ্যমিকের সময় প্রতি দিন কয়েক ঘণ্টা করে বন্ধ ছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। উচ্চমাধ্যমিকের সময়ও তাই হলএতে ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে।’’
গোয়ালপোখর, করণদিঘি, চাকুলিয়া এবং ডালখোলা এলাকাতেও এ দিন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল।