অনশন নিয়ে বন্দিদের সংঘর্ষ সংশোধনাগারে

নিম্নমানের খাবারের অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। রবিবার রাত থেকে অনশনও শুরু করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সোমবার রাতে একদল বন্দি অনশন ভেঙে খাবার খেয়ে নেন। তা নিয়েই মঙ্গলবার সকালে দুই দলের বন্দির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহার জেলা সংশোধানার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:০৮
Share:

নিম্নমানের খাবারের অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। রবিবার রাত থেকে অনশনও শুরু করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সোমবার রাতে একদল বন্দি অনশন ভেঙে খাবার খেয়ে নেন। তা নিয়েই মঙ্গলবার সকালে দুই দলের বন্দির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহার জেলা সংশোধানার।

Advertisement

বেশ কিছুক্ষণ ধরেই দু’পক্ষের মধ্যে ধ্বস্তাধস্তি চলতে থাকে। কিল, চড়, ঘুঁষিও চলতে থাকে। বিপত্তি বুঝে সংশোধনাগারের নিরাপত্তারক্ষীরা দু’পক্ষকে আলাদা করে দেন। তাঁদের আলাদা ভাবে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। জেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেছেন, আলোচনার মাধ্যমে দুপুরে সব বন্দিরাই খাবার খেয়েছেন।

জেলা সংশোধনাগারের ভারপ্রাপ্ত সুপার রাজীব রঞ্জন বলেন, “এখন বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাই না।” এ দিন বিকেলে কোচবিহার জেলা আইনি পরিষেবা সমিতির সদস্যরা জেল পরিদর্শন করেন। জেল পরিদর্শক খোকন মিয়াঁও সেখানে গিয়েছিলেন। খোকন মিয়াঁ বলেন, “কয়েকজন বন্দি অশান্তি তৈরির চেষ্টা করেছিলেন। জেল কর্তৃপক্ষ আলোচনার মাধ্যমে তা মিটিয়ে নিয়েছেন।”

Advertisement

সংশোধনাগার সূত্রের খবর, বন্দিদের কয়েকজন বেশ কিছু দিন ধরেই একাধিক অভিযোগ তুলতে শুরু করেন। নিম্নমানের খাবারের পাশাপাশি জেল সুপার তাঁদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন বলেও অভিযোগ তোলেন অনেকে। জেল সুপার ওই অভিযোগ ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন। সংশোধনাগার সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ওই জেল মদ, গাঁজা সহ নানা নেশার দ্রব্যের আখড়া বসে গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, জেলের মধ্যেই বন্দিদের হাতে হাতে মোবাইল ঘুরছিল বলেও অভিযোগ। গত তিন মাস আগে রাজীবরঞ্জন ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার হিসেবে কাজে যোগ দেন। এরপরেই একাধিক বিষয়ে তিনি কড়া পদক্ষেপ করতে শুরু করেন। মদ, গাঁজা সহ নেশার দ্রব্য জেলে ঢোকা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, কার কার হাতে মোবাইল আছে, তা খুঁজতেও চলছে কড়াকড়ি। তা নিয়েই নতুন সুপারের সঙ্গে বন্দিদের একটি অংশের বিরোধ চরমে ওঠে।

সম্প্রতি জেল বন্দিরা অনশন শুরু করেছিলেন। পরে তা আলোচনার মাধ্যমে মেটানো হয়। এ বারে ফের অনশন শুরু করলে বিপাকে পড়ে যান জেল কর্তৃপক্ষ। একদল বন্দি অবশ্য অনশন করতে রাজি হননি। সকালে আরেক দল বন্দি সেটা জানতে পারে, তার পরেই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ফের যাতে অনশন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement