অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে৷ বুধবার জলপাইগুড়ির বিবেকানন্দপল্লি এলকায় ঘটনা৷ ঘটনার পর থেকেই পলাতক গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি৷ তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ৷
পুলিশ জানিয়েছে, ওই বধূর নাম প্রতিমা রায় কীর্তনীয়া (২৪)৷ তাঁর বাড়ি জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরের বালাপাড়া এলাকায়৷ বছর দেড়েক আগে তাঁর সঙ্গে খড়িয়ার বিবেকানন্দপল্লি এলাকার বাসিন্দা জয়ন্ত কীর্তনীয়ার প্রেম করে বিয়ে হয়৷ জয়ন্ত জেসিবি চালান৷ বধূর বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য প্রতিমাদেবীর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা৷ এরপর সম্প্রতি একটি মোটর সাইকেলের জন্য দাবি করে তারা৷ না দেওয়াতেই ওই গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ প্রতিমার বাড়ির লোকেদের৷
তাঁদের দাবি, বিয়ের সময়ই প্রতিমাদেবীর শ্বশুরবাড়িকে তাঁরা পচিশ হাজার টাকা নগদ সহ সোনার গহনা দেন৷ তারপরও মাঝেমধ্যেই নানা দাবি তুলতে থাকেন তাঁরা৷ এবং প্রতিমাদেবীকে তাঁর বাবার বাড়িতেও যেতে দিত না শ্বশুরবাড়ির লোকেরা৷ এরই মধ্যে সম্প্রতি মোটর সাইকেলের দাবিটি তোলে জয়ন্ত৷ কিন্তু তা না মেলায় অত্যাচার আরও বেড়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ৷ প্রতিমাদেবীর দাদা পলাশ রায় বলেন, ‘‘বুধবার দুপুরে জয়ন্ত আচমকাই আমায় বলে, বোন বাড়িতে কিছু গোলমাল করেছে৷ তাই আমি যেন তাদের বাড়িতে যাই৷ শুনেই সেখানে ছুটে যাই৷ গিয়ে দেখি বোন বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে৷ কেন এমনটা হল জানতে চাইলে তারা জানায়, বোন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে৷’’
পলাশবাবুর অভিযোগ, মোটর সাইকেল না পেয়েই তাঁর বোনকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে৷ প্রতিমাদেবী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন৷ বুধবার দুপুরে ঘটনা ঘটার খানিক্ষণ আগে তিনি একবার তার মাকে ফোন করে বাড়ি যেতে চান বলে জানান৷ কিন্তু এর খানিক্ষণ পর বাবাকে ফোন করে কান্নাকাটি করতে থাকেন তিনি৷ কেন কান্নাকাটি করছেন তা অবশ্য জানতে চাইলেও বাবাকে ফোনে খুলে বলেননি তিনি৷ তার খানিক ক্ষণের মধ্যেই এই ঘটনা৷
জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে৷ বধূর স্বামী ও শ্বশুর শাশুড়ির খোঁজ চলছে৷