সেনা ছাউনি ঘেরা ডুয়ার্সে বারবার মর্টার, শেল, গ্রেনেড, মাইন ফেটে মৃত্যু হয়েছে বাসিন্দাদের। রবিবার ভোরে এমনই এক ঘটনা ফিরিয়েছে অনেক দুর্ঘটনার স্মৃতি।
নয়ের দশকের গোড়ায় মালবাজারে গুদামে তাজা গোলা ফেটে মৃত্যু হয় এক কিশোরের। গত বছরের নভেম্বরেই কামানের গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে সোনালি চা বাগানের শ্রমিক আবাসের ওপরে পড়ে। গোলাটি না ফাটায় প্রাণে বাঁচেন সবাই। এ বছর ২৪ জানুয়ারি ওয়াশাবাড়িতে জাতীয় সড়কের ধারে একটি তাজা মর্টার শেল পড়ে থাকতে দেখা যায়। ২৪ ঘণ্টা পর বম্ব স্কোয়াড সেটি নিষ্ক্রিয় করে।
বাগরাকোট পঞ্চায়েতের তিস্তা এবং ঘিস নদীর মিলনস্থলের ফাঁকা বিস্তীর্ণচর এলাকায় গত দু’দশক ধরে সেনাবাহিনীর গোলন্দাজ বাহিনী অনুশীলন করে। এই এলাকায় সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। কিন্তু সোনালি, লিস রিভার, ওয়াশাবাড়ি, এলেনবাড়ির মত চা বাগানগুলির বাসিন্দাদের অনেকে র ঝুঁকি নিয়ে বিস্ফোরণের পর বেরিয়ে আসা সীসা ও অন্যান্য ধাতু কুড়িয়ে বিক্রি করেন। শিলিগুড়ি থেকে অনেক ব্যবসায়ীরা এই এলাকার শ্রমিকমহল্লায় এসে সে সব কিনেও নিয়ে যান। রবিবারও ওই কিশোরেরা যে ধাতু কুড়োতেই গিয়েছিল প্রাথমিক তদন্তে তেমনটাই জানতে পেরেছেন সেনা ও পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকেরা। ফের এমন ঘটনা রুখতে বিধায়ক বুলু চিক বরাইক, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বাবুলাল ওঁরাও, কুমার শেরপা সকলেই বাসিন্দাদের সচেতনতা বাড়িয়ে তোলার উপরেই জোর দেন।