উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে উত্তরবঙ্গের আকাশে মেঘ।
নিম্নচাপ অক্ষরেখার প্রভাবে গত কয়েকদিন থেকেই বজ্রপাত-সহ বৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টি চলছিল। মঙ্গলবার রাত থেকে পরিস্থিতি আরও কিছুটা জটিল হল বলেই আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর। পূর্ব উত্তরপ্রদেশ থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে বলে জানান আবহাওয়া দফতরের কর্তারা। তার জেরে শিলাবৃষ্টি এবং কালবৈশাখী আরও দু’দিন চলতে পারে বলেই জানান তাঁরা।
কোথাও ঝড়ে চাল উড়ে যাচ্ছে, তো কোথাও বড় বড় শিলা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে দিয়েছে। গত কয়েকদিন থেকেই নিম্নচাপ অক্ষরেখার জেরে এই পরিস্থিতির মধ্যেই হানা দিয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। তাতেই আশঙ্কার মেঘ আরও ঘন হয়েছে উত্তরবঙ্গে। আবহাওয়া দফতরের কর্তারা জানান, ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে বাতাসে অস্থিরতা বেড়ে গিয়েছে। সিকিমে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণাবর্ত একসঙ্গে হলে প্রভাব একটু বাড়তে পারে।’’ জানানো হয়েছে, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শিলাবৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। কালবৈশাখীর দাপট বাড়বে বলেই জানান তাঁরা। গত কয়েকদিন থেকেই উত্তরবঙ্গে হালকা এবং মাঝারি বৃষ্টিপাত বিক্ষিপ্ত ভাবে হচ্ছিল। মঙ্গলবার রাতেও মালদহ, শিলিগুড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের কিছু অংশ ছাড়াও উত্তরবঙ্গের আরও কয়েকটি জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি হয়। তাতে তাপমাত্রা সাময়িক ভাবে এলাকায় কিছুটা কমেছে। কিন্তু ফসলের ক্ষতি ব্যাপক ভাবে হচ্ছে বলেই জেলা প্রশাসনগুলি সূত্রে খবর। এর মধ্যেই আরও দু’দিন বৃষ্টির দাপট বজায় থাকবে উত্তরবঙ্গে। আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকেরা জানান, ঝড়ের গতিবেগ ৪০-৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বৃষ্টির সঙ্গে। মরসুমি ফসলের ক্ষতি তাতে আরও কিছুটা বাড়বে।
এই সময় গরমে কালবৈশাখী এমনিতেই হয়। কিন্তু জোড়া প্রাকৃতিক প্রভাবে তা তীব্রতর হতে পারে বলেই আশঙ্কা আবহাওয়া দফতরের। উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করেও তাঁরা দেখেছেন, উত্তরবঙ্গে জলীয় বাষ্পের সঙ্গেই প্রচুর পরিমাণ মেঘের উপস্থিতি রয়েছে। তাঁরা জানান, তার সঙ্গে বেড়ে রয়েছে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণও।