পুরসভা লক্ষ্য, ছুটছেন হরকা

তিনি নিজে প্রার্থী নন। তবে দলের হয়ে প্রচারে তিনিই মুখ। এক সময়ের মোর্চার দাপুটে নেতা এখন জন আন্দোলন পার্টির সুপ্রিমো। সকাল থেকে রাত কখনও কোনও বাড়িতে বাসিন্দাদের নিয়ে বৈঠক করছেন।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

কালিম্পং শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৭ ০২:৪৭
Share:

প্রচারে: কালিম্পংয়ের পথে হরকা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

তিনি নিজে প্রার্থী নন। তবে দলের হয়ে প্রচারে তিনিই মুখ।

Advertisement

এক সময়ের মোর্চার দাপুটে নেতা এখন জন আন্দোলন পার্টির সুপ্রিমো। সকাল থেকে রাত কখনও কোনও বাড়িতে বাসিন্দাদের নিয়ে বৈঠক করছেন। কখনও বাড়ি বাড়ি প্রচারে যাচ্ছেন। হাটে বাজারে ঘুরছেন দলীয় প্রার্থীদের হয়ে সমর্থন চেয়ে। নতুন দল গঠনের পর গত কয়েক বছরে কালিম্পঙে সাড়া ফেলেছে হরকা বাহাদুর ছেত্রীর দল। কয়েকমাস আগে কালিম্পং কলেজের ভোটে জন আন্দোলন পার্টির জয় মোর্চার কপালেও ভাঁজ ফেলেছে।

মোর্চার পর তারাই কালিম্পং পুরভোটে ২৩টি আসনের সব ক’টিতেই প্রার্থী দিয়েছেন। প্রচার চালাচ্ছেন পুরবোর্ড দখলের লক্ষ্য নিয়েই। প্রচারে বাসিন্দাদের সেটাই বোঝাচ্ছেন হরকা। ক্ষমতায় এলে ২ বছরে পানীয় জলের সমস্যা মেটানো থেকে নিকাশির হাল ফেরানোর আশ্বাস দিচ্ছেন।

Advertisement

বড় জনসভা করে প্রচার নয়। বরং ঘরোয়া সভাই জাপের পছন্দ। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে মুরগিহাটা এলাকার বাসিন্দা জাপের প্রার্থী প্রভা লামার বাড়িতেই শুক্রবার সভা বসেছিল। অনুষ্কা ঘিমিরে, সুনু ভিতরিকোটি, অমৃতা ছেত্রীদের মতো বাসিন্দারাও জল, নিকাশির সমস্যা, যথাযথ সাফাই পরিষেবা না মেলার মতো বিষয়গুলো তুলে ধরছেন।

বাসিন্দাদের অভিযোগ মন দিয়ে পুরোটা শুনে হরকা বাহাদুর ছেত্রী বললেন, ‘‘আমরা ক্ষমতায় এলে মডেল পুরসভা, মডেল ওয়ার্ড গড়ে তুলতে চাই।’’ সভাতেই মোর্চাকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘ন্যুনতম পরিষেবা নেই। আর গোর্খাল্যান্ডের কথা বলে মজা করা হচ্ছে। পানীয় জলের জন্য পাঁচটা ট্যাঙ্ক পাঠানো হচ্ছে। হিসাব দেখানো হচ্ছে ৫০টির।’’

তৃণমূলের নেতারা পাল্টা বলছেন, ‘‘উনি মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেই জানাতেন। এখন আলাদা চলছেন।’’ মোর্চা নেতৃত্ব অবশ্য প্রকাশ্যে জাপকে আমল দিতে চাইছেন না। মোর্চার কালিম্পং জেলার সভাপতি রাম বাহাদুর ভুজেল বলেন, ‘‘বিরোধীরা অনেক কিছু বলতে পারেন। মনে রাখতে হবে পুরভোট আর কলেজ ভোট এক নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement