Death

আমবাগানে ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ, পাশে স্কুলের পোড়া কাগজ

ঘটনাস্থল থেকে একটি স্কুলব্যাগ, একটি লাল সোয়েটার এবং পোড়া কিছু কাগজ মেলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

পুরাতন মালদহ শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২০ ০২:৫৬
Share:

ঘটনাস্থলে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

আবার আমবাগানে দেহ উদ্ধার। বুধবার সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় এক কিশোরীর দেহ পাওয়া গেল পুরাতন মালদহ থানার ভাবুক পঞ্চায়েতের সোনাঝুরি গ্রামে পাঁচিলঘেরা একটি আমবাগানে। প্রথমে ওই কিশোরীর পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে একটি স্কুলব্যাগ, একটি লাল সোয়েটার এবং পোড়া কিছু কাগজ মেলে। তা থেকে পরে পুলিশ পরিচয় জানতে পারে। এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের পরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেহ মালদহ মেডিক্যালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পোড়া কাগজের মধ্যে ‘পুর অঞ্চল হাই স্কু’ লেখা একটি টুকরো মেলে। তাতে বোঝা যায় সে কোনও স্কুলের ছাত্রী। জেলার যে সব এলাকার নামে ‘পুর’ রয়েছে, সে সব থানায় ওই কিশোরীর দেহ ও উদ্ধার করা বিভিন্ন জিনিসের ছবি পাঠানো হয়। দুপুর নাগাদ তার পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। মৃতার মা ও দাদা মর্গে এসে দেহ শনাক্ত করেন।

মালদহ থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, ‘‘কিশোরীর বাড়ি হবিবপুর ব্লকের শ্রীরামপুরে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, কিশোরী সম্ভবত আত্মঘাতী হয়েছে।’’

Advertisement

বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ সোনাঝুরি গ্রামের কয়েক জন মহিলা জ্বালানি কাঠ ও শুকনো পাতা কুড়োতে ওই বাগানে গিয়েছিলেন। তাঁরাই কিশোরীর দেহ দেখেন বলে জানান। উঁচু পাঁচিলে ঘেরা ওই বাগানে কী ভাবে কিশোরী ঢুকল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরী মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষায় এ বার অকৃতকার্য হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এতে সে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিল। পড়াশোনাও ছেড়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তার মা তাকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বলে। এ নিয়ে বাড়িতে দু’দিন আগে মনোমালিন্যও হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলে যাওয়ার নাম করে মঙ্গলবার দুপুরে ওই কিশোরী স্কুলের কিছু কাগজপত্র ব্যাগে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। কিন্তু রাতে ফেরেনি। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করলেও হবিবপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেনি। এ দিন সকালে বাড়ি থেকে অন্তত ২৫ কিলোমিটার দূরে পুরাতন মালদহ ব্লকের ভাবুক পঞ্চায়েতের সোনাঝুরি গ্রামের আমবাগানে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

পুলিশ জানতে পেরেছে, ভাবুকে ওই কিশোরীর আত্মীয় থাকেন। বাড়ি থেকে বেরিয়ে সম্ভবত তাঁর বাড়িতেই সে যাচ্ছিল। কোনও ভাবে নির্জন ওই বাগানে ঢোকে। যদিও দেহ উদ্ধারের পরে বাসিন্দাদের একাংশ অভিযোগ তোলেন, ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করার পরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের দাবি, ময়নাতদন্তে ধর্ষণের প্রমাণ প্রাথমিক ভাবে মেলেনি। তবে তদন্ত করা হচ্ছে।

ওই কিশোরীর মা বলেন, ‘‘কী ভাবে কী হয়ে গেল বুঝতে পারছি না। মেয়ে খুব অভিমানী ছিল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement