এ বার টিফিন নিয়ে সতর্ক মন্ত্রী

গৌতম বলেন, ‘‘এ বার আমরা পর্যাপ্ত টিফিন রেখেছি। সেগুলি ঠিক সময়েই তাদের দেওয়া হবে। যাতে তারা খেয়ে প্রতিযোগিতায় যোগ নিতে পারে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০৬:২৭
Share:

উত্তরবঙ্গ উৎসবের উদ্বোধনে এসে বাচ্চাদের টিফিন খাওয়া নিয়ে চিন্তাপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বোধনে হাজির হয়েছিল প্রায় ১০ হাজার হাজার ছেলেমেয়ে। এরপর সোমবারই কাঞ্চনজঙ্ঘা ক্রীড়াঙ্গনে রয়েছে উৎসবের আরও একটি বড় অনুষ্ঠান—বসে আঁকো। এ বার সেখানে টিফিনের ব্যবস্থা পর্যাপ্ত রাখা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রস্তুতি এবং ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখলেন মন্ত্রী গৌতম দেব।

Advertisement

গৌতম বলেন, ‘‘এ বার আমরা পর্যাপ্ত টিফিন রেখেছি। সেগুলি ঠিক সময়েই তাদের দেওয়া হবে। যাতে তারা খেয়ে প্রতিযোগিতায় যোগ নিতে পারে।’’ কাঞ্চনজঙ্ঘা ক্রীড়াঙ্গনে সোমবার আসার কথা প্রায় ১৮ হাজার কচিকাঁচার। তাদের জন্য ২০ হাজার টিফিনের প্যাকেট তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এ দিন মন্ত্রী সেখানে গিয়ে নিজে সবটা খতিয়ে দেখেন। টিফিনের প্যাকেটে থাকছে, কেক এবং এবং বিস্কুটের প্যাকেট। জলের বোতল, ফলের রসের এবং চিপসের প্যাকেট। অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক জয়ন্ত কর বলেন, ‘‘আমরা ঢোকার মুখেই বাচ্চাদের টিফিনের প্যাকট সহ মেডেল, সার্টিফিকেট এবং আর্টপেপার দিয়ে দেব।’’

গত ২১ জানুয়ারি উত্তরবঙ্গ উৎসবের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করার পর টিফিন না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছিল বাচ্চারা। মুখ্যমন্ত্রীর বলার পরেও অনেককেই টিফিন দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ছিল। এ বার টিফিন নিয়ে সাবধানী কর্তৃপক্ষ। টিফিন ছাড়াও বেশ কয়েকটি বিষয় এদিন খতিয়ে দেখেন মন্ত্রী। প্রায় ১৮ হাজার প্রতিযোগী হাজির হওয়া কথা ক্রীড়াঙ্গণে। তার জন্য চারটি ব্লক বা বিভাগ তৈরি করা হচ্ছে। চারটে ব্লকে চারটি ভিডিও ক্যামেরা ৮টি সিসিটিভি এবং একটি ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালানো হবে। সঙ্গে প্রায় ৪০০ স্বেচ্ছাসেবক থাকবে পুরো ব্যবস্থাপনায়। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এ বিভাগ তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত। প্রবেশ ১ এবং ১৩ নম্বর গেট দিয়ে। বি বিভাগে চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত ২ ও ৫ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকবে। সি বিভাগে সপ্তম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রদের জন্য ৮ নম্বর, ছাত্রীদের জন্য ৯ নম্বর গেট। দশম শ্রেণি বা তার উর্ধে ছাত্রদেরা ১১ এবং ছাত্রীরা ১২ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকবে। প্রতিযোগীদের আসার কথা বেলা ১১টার মধ্যেই যাতে বেলা ১টা থেকে অনুষ্ঠান শুরু করা যায়।

Advertisement

পুলিশকর্তাদের তরফে জানানো হয়েছিল, বাচ্চাদের টিফিনের ব্যবস্থা মাঠে ঢোকার পর করা হলে ট্রাফিক চালু রাখতে সুবিধা হবে। কারণ ক্রীড়াঙ্গনে প্রায় ২৫০টি বাস বাচ্চাদের নিয়ে আসবে। মূল গেটেই টিফিনের জন্য লাইন পড়লে ট্রাফিক ব্যাহত হতে পারে। তবে পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, গেটেই টিফিন দিয়ে বাচ্চাদের ঢোকার ব্যবস্থা হবে। তার জন্য ট্রাফিক সামলাবে পুলিশ। মাঠের চারদিকে চারটি অস্থায়ী শৌচাগারও তৈরি করা হচ্ছে প্রতিযোগীদের জন্য। ১৮ হাজার প্রতিযোগীর সঙ্গে তাদের অভিভাবকদেরও আসার কথা। ৭০ জন বিচারক থাকছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement