বাইপাস নিয়ে গৌতম নরম, অমল গরম

বাইপাসের সমস্যা সমাধান করতে এসে এক জন বললেন, বুলডোজার চালিয়ে নয়, বরং মানুষের হৃদয় জয় করেই ইসলামপুর বাইপাসের কাজ হবে। তাঁর সঙ্গে মঞ্চে দাঁড়িয়ে অন্য জন কিন্তু হুমকি দিচ্ছেন, বাইপাসের বিরোধিতা করতে এলে যুব তৃণমূল সদস্যরা পেটাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৩৮
Share:

মঞ্চে: গৌতম দেব। নিজস্ব চিত্র

বাইপাসের সমস্যা সমাধান করতে এসে এক জন বললেন, বুলডোজার চালিয়ে নয়, বরং মানুষের হৃদয় জয় করেই ইসলামপুর বাইপাসের কাজ হবে। তাঁর সঙ্গে মঞ্চে দাঁড়িয়ে অন্য জন কিন্তু হুমকি দিচ্ছেন, বাইপাসের বিরোধিতা করতে এলে যুব তৃণমূল সদস্যরা পেটাবে।

Advertisement

বাইপাস জট খুলতে এ দিন এই দুই পরস্পর বিরোধী কথাই শোনা গিয়েছে তৃণমূলের মঞ্চ থেকে। এবং এর পরে এখনও কেউ বলতে পারছেন না, আখেরে কী ভাবে খুলবে বাইপাসের জট।

শনিবার অধিগৃহীত জমির উপরে সভা করে তৃণমূল। সেখান থেকে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বারেবারেই আলাপ-আলোচনার উপরে জোর দেন। তিনি বলেন, ‘‘জোর করে নয়, মানুষের হৃদয় জয় করেই এগোতে হবে।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘তবে বিধায়ক ভিক্টর, সাংসদ মহম্মদ সেলিম ও করিম চৌধুরীরা এর বিরোধিতা করছেন। কিছু মানুষের সঙ্গে জমির কোনও সম্পর্ক নেই। তারা শুধু চাষিদের নিয়ে রাজনীতি করছেন।’’

Advertisement

এ দিন গৌতম দাবি করেন, জমি দাতাদের জন্য সরকার বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করছে সরকার। যোগ্যতা অনুযায়ী সিভিক ভলেন্টিয়ার, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল-সহ বিভিন্ন দফতরে চাকরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গীতাঞ্জলি প্রকল্পে ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে এলাকায় ক্যাম্প করে জমিদাতাদের সমস্যার সমাধান ত্বরান্বিত করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

এই মঞ্চ থেকেই উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অমল আচার্য কিন্তু রীতিমতো হুমকি দিয়েছেন। তাঁর কথায়, এলাকার বাইরের কেউ বাইপাসের বিরোধিতা করতে গেলে যুব তৃণমূল সদস্যরা তাদের বাড়ি গিয়ে পেটাবে। ফলে, জমিদাতার অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। আন্দোলনকারীদের তরফে ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক ইমরান আলি রমজ, করিম চৌধুরী, মহম্মদ সেলিমের লোকজনেরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের নেতাদের কেউ মারধরের চেষ্টা করলে তাঁরাও রুখে দাঁড়াবেন।

অমল আচার্য এ দিন নাম না করে রমজের সমালোচনা করেন। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘বামফ্রন্টের এক নেতা বিধাসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে বাজে কথা বলেছেন। জেলার সভাধিপতিকেও বলছেন।’’ এ দিন বাইপাসের সভার পরে এসেই চাষিদের একাংশ দাবি করেন তাদের গ্রামটি দেখার জন্য। বলেঞ্চার রায়পাড়ার কয়েক জন কৃষক জানান, প্রশাসন চার দিন সময় দিলেও তার আগেই কাজ করতে আসছে। তাঁদের বাড়ি ঘর ভেঙে ফেলা হলেও কোন সাহায্য মেলেনি বলে অভিযোগ করেন। এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। রাত কাটাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে— অমলবাবুর কাছে অনুযোগ করেন তাঁরা। জেলা তৃণমূল সভাপতি শীঘ্রই ওই সব এলাকা ঘুরে দেখে পদক্ষেপের আশ্বাস দেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement