—ফাইল চিত্র।
‘গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা’-র হয়ে বিমল গুরুং ও রোশন গিরি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন এই আশঙ্কা করে মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলা দায়ের করেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।
দলের আইনজীবী জানান, মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের কাছে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে দলের পক্ষ থেকে একাধিক বার জানানো হয়েছে বিমল ও রোশন গিরি আর মোর্চার সভাপতি ও সম্পাদক নন। ২০১৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটি সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিনয় তামাংকে সভাপতি ও অনিত থাপাকে সম্পাদক নিযুক্ত করে। কারণ ওই বছর পাহাড়ে গোলমালের সময় বিমল ও রোশন দু’জনেই বেআইনি কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারি সেই সিদ্ধান্তের কথা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েও দেয় দল।
আইনজীবি জানান, কমিশনকে এও বলা হয় যে, ২০০৭ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে মোর্চার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন বিমল এবং সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন রোশন। ২০০৮ সালের ১৭ মার্চ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি দিয়েছিল কমিশন। সেই সময় কমিশনের নথিতে বিমল ও রোশনের নাম থাকলেও পরে ওই দু’জনের নাম নথি থেকে সরানোর আবেদন করা হয়েছিল।
আইনজীবী এও জানান, ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ কমিশন চিঠি দিয়ে দলের নতুন সম্পাদক অনীত
থাপাকে জানায়, বিমল গুরুঙ্গ কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের ১৭ নভেম্বর একটি সভার মাধ্যমে তাঁকে ফের দলের সভাপতি
হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। কিন্তু সেই চিঠি জাল বলে অনীত থাপা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দেয়।
মামলার আবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত বছর ১ এপ্রিল দলের বার্ষিক সাধারণ সভায় বিনয় ও অনীতকে ফের সভাপতি ও সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। কমিশনকে সেটা জানিয়েও দেওয়া হয়। এর পরে জানুয়ারি মাসে দলের এক সদস্য তথ্য জানার আইনের সাহায্য নিয়ে জানতে পারেন, কমিশন তাদের কাছে থাকা তথ্য বদলায়নি।
সেই কারণেই তাঁরা আশঙ্কা করছেন যে বিমল ও রোশন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার হয়ে লোকসভা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন, সেই আশঙ্কা করেই মামলা করা হয়েছে হাইকোর্টে। আগামী সোমবার মামলার শুনানি হতে পারে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের আদালতে।