প্রতিবাদ: পড়ুয়াদের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি। নিজস্ব চিত্র
মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করল মালদহের গনি খান নামাঙ্কিত ইঞ্জিনিয়রিং কলেজ (জিকেসিআইইটি)-এর আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ জারি রেখেই রবিবার দুপুর থেকে পড়ুয়ারা ইংরেজবাজার শহরের রথবাড়ি মোড়ে অভিযানে নামে।
পথ চলতি মানুষের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরও স্বাক্ষর নেন তাঁরা। পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, এদিন কয়েক হাজার স্বাক্ষর তাঁরা সংগ্রহ করেছেন। জেলার আরও বাসিন্দাদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে তা নবান্নে পাঠানো হবে। এদিকে, এদিন পড়ুয়াদের আন্দোলন ১৪ দিনে পড়ল। জিকেসিআইইটি থেকে মডিউলার প্যাটর্নে উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের সার্টিফিকেট প্রদান ও ল্যাটারাল এন্ট্রি করে বিটেকে ভর্তির ব্যবস্থার দাবিতে গত ২৩ জুলাই থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে পড়ুয়ারা। গত সোমবার পড়ুয়ারা ইংরেজবাজার শহরের ফোয়ারা মোড়ে প্রতিবাদ সভা করেছিল। সেই সভায় যাদবপুর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও অংশ নিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার থেকে পড়ুয়ারা প্রশাসনিক ভবনে কোনও কর্মীকে ঢুকতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। এদিন ছুটি থাকায় কলেজে কোনও আধিকারিক না এলেও পড়ুয়ারা অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যান। পড়ুয়ারা জানিয়েছে, আজ সোমবারও তারা প্রশাসনিক ভবনে কোনও আধিকারিক বা কর্মীকে ঢুকতে দেবেন না।
এ দিকে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের কাছে পুরো ঘটনা জানাতে কাল, মঙ্গলবার একটি ছাত্র প্রতিনিধি দলকে বিকাশ ভবনে পাঠানো হচ্ছে। কলেজের সমস্যা মেটাতে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছেও আবেদন জানাবে। তবে তাঁরা সেই আবেদনপত্রে শুধু নিজেদেরই স্বাক্ষর নয়, পাশে দাঁড়ানো মালদহবাসীর স্বাক্ষর দিয়েই সেই আবেদন জানাতে চায়। আর তাই, এদিন দুপুর থেকে পড়ুয়ারা গণস্বাক্ষর অভিযানে নেমেছেন।
আন্দোলনকারী পড়ুয়া রবিউল ইসলাম, রুমন শেখরা বলেন, “কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের কয়েক’শো ছাত্রছাত্রীকে পথে বসিয়ে দেওয়ার জোগাড় করেছে অথচ তাঁরা আমাদের সমস্যার কথা শুনছেন না। প্রশাসনও নির্বিকার। তাই আমরা মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আমাদের সমস্যার কথা জানাতে চাই। সে জন্যই গণস্বাক্ষর সংগ্রহ চলছে।’’
তাঁরা জানিয়েছে, আরও স্বাক্ষর সংগ্রহ করে তাঁরা সেই আবেদন মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পাঠাবেন।
প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর পরমেশ্বর রাও আলাপতি জানান, আমরা পুরো বিষয় কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে জানিয়েছি। সেখান থেকে যেভাবে নির্দেশ আসবে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ হবে। এর বেশি কিছু বলার নেই।