—প্রতীকী চিত্র।
১১ বছরের এক স্কুলছাত্রীর হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল পিসেমশাইয়ের বিরুদ্ধে। উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ‘নির্যাতিতা’র বাবা। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটে অক্টোবরের ৬ তারিখ। নাবালিকা ঠাকুরমার সঙ্গে পিসির বাড়িতে নেমন্তন্ন খেতে গিয়েছিল। রাতে সেখানেই ছিল তারা। পরদিন, অর্থাৎ ৭ অক্টোবর বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে বালিকার পিসেমশাই তাকে বাড়ি থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে একটি জায়গায় নিয়ে যান। সেখানে একটি বাগানে নাবালিকার হাত-পা বেঁধে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। শুধু তা-ই নয়, ওই ঘটনার কথা কাউকে বললে তার প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়।
পরে ঠাকুমার সঙ্গে বাড়ি ফিরে আসে ‘নির্যাতিতা’। কিন্তু আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। খাওয়াদাওয়া এক প্রকার বন্ধ করে দেয়। এ ভাবে বেশ কয়েক দিন কাটে। আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে মেয়েটি। শুরু হয় রক্তপাত। তখনই বাবা-মায়ের কাছে মেয়েটি পিসেমশাইয়ের কাণ্ডের কথা বলে। তার পরেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চোপড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা। অভিযোগের ভিত্তিতে যুবককে গ্রেফতার করে শুক্রবারই তাঁকে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে হাজির করিয়েছে পুলিশ।
মেয়ের সঙ্গে ভগিনীপতির এমন ব্যবহারে কার্যত দিশাহারা নির্যাতিতার বাবা। অশ্রুসজল চোখে তাঁর মন্তব্য, ‘‘কী বলব কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আমার মেয়ের সঙ্গে যে এই নোংরা কাজ করেছে, সে আমার আত্মীয়। আমার বোনের স্বামী। আমরা কেউই ভাবতে পারছি না। মেয়ে খুব অসুস্থ হয়ে পড়ার পর আমরা জানতে চাই অসুবিধার কথা। তখন মাকে সে সব কথা জানায়। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার বিচার প্রার্থনা করছি আমরা।’’ নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, থানায় অভিযোগ দায়ের করার আগে পর্যন্ত তাঁদের নানা ভাবে ভয় দেখিয়েছেন অভিযুক্ত। তিনি বলেন, ‘‘আমার মেয়ের এই সর্বনাশ যে করল তার কঠোর শাস্তি চাই।’’ ইতিমধ্যে ওই ঘটনা নিয়ে তোলপাড়া এলাকা। ইসলামপুর জেলা পুলিশ সুপার জেভি থমাস জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কী হয়েছে, তার তদন্ত করছে পুলিশ।