সঙ্গিনীর সঙ্গে দু’দণ্ড সময় কাটানোর উপায় নেই। হঠাৎ গায়ের উপর এসে পড়ছে ঢিল। এই অবস্থায় কার মেজাজ ঠিক থাকে? পাগলারও থাকছে না। ক্ষেপে গিয়ে ডুব সাঁতার দিচ্ছে সে। সঙ্গে সঙ্গে উধাও হয়ে যাচ্ছে পাগলার সঙ্গিনীও। প্রায়শই এমন ঘ়টনা ঘটছে রসিকবিল মিনি জু’র বাসিন্দা পুরুষ ঘড়িয়াল পাগলার সঙ্গে। অভিযোগ পর্যটকদের একটি অংশ ‘বিরক্ত’ করছে পাগলাকে। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রসিকবিল মিনি জু’তে থাকা বন্যপ্রাণীদের নিরাপত্তা নিয়েও।
ছ’বছর আগে নদী থেকে উদ্ধারের পর পাগলাকে দীর্ঘ দিন একটি পুকুরে একা রাখা হয়েছিল। বছর খানেক আগে কুঞ্জনগরের একাধিক ঘড়িয়াল সেখানে আনা হয়। তখন থেকেই পাগলার ভরা পরিবার। একটি স্ত্রী ঘড়িয়ালের সঙ্গে দারুণ সখ্যতাও হয়েছে তার। সেটির সঙ্গেই পাগলাকে দিনে অন্তত তিন-চারবার দেখা যেত পুকুরে ভেসে উঠতে। ফলে দীর্ঘ সময় তাদের দেখার সুযোগ মিলত। অভিযোগ, পুজোর মুখে ওই মিনি জু’তে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের আচরণের খেসারত দিতে হচ্ছে বাকি পর্যটকদের। সহজে দেখা মিলছে না ওই ঘড়িয়াল যুগলের।
পরিবেশপ্রেমী সংস্থা ন্যাসগ্রুপের সম্পাদক অরূপ গুহ বলেন, “বনকর্মীদের ডাকে সাড়া দিয়েও রসিকবিলের ঘড়িয়ালরা ভেসে ওঠে। সে এক দারুণ সুন্দর দৃশ্য।’’ বন্যপ্রাণীদের বিরক্ত করা রুখতে সচেতনতা ও নজরদারি বাড়ানোর দাবি করেছেন ন্যাফের মুখপাত্র অনিমেষ বসু। তিনি বলেন, “ঘড়িয়ালগুলোকে বিরক্ত করা হলে তা দুর্ভাগ্যজনক। এটা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’’
গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন বনকর্তারা। যদিও এক বনকর্তার দাবি, বন্যপ্রাণীদের বিরক্ত করা নিয়ে তাঁরা অভিযোগ পাননি। মিনি জু’তে নজরদারি রয়েছে বলে জানান কোচবিহারের ডিএফও বিমান বিশ্বাস। ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন।