প্রস্তুতি: মণ্ডপের পথে গণেশের মূর্তি। ছবি: সুমন মণ্ডল
পুজোর বয়স খুব বেশি নয়। তিন বছর। কোচবিহার শহর থেকে দূরে প্রত্যন্ত ভেটাগুড়িতে সেই গণেশ পুজোর বাজেটই এ বার নাকি কোটি টাকার উপরে। অন্তত প্রচার তেমনই। আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে আলোচনা। প্রশ্ন উঠেছে, গ্রামে যেখানে লক্ষ টাকা বাজেটের পুজো করতে লোকজন হিমশিম খায়, সেখানে এত বড় মাপের পুজো হচ্ছে কী ভাবে? পুজোর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তৃণমূলের যুব নেতা নিশীথ প্রামাণিক। তাই প্রশ্ন মূলত তুলছেন বিরোধীরা।
বিজেপির কোচবিহার জেলার প্রাক্তন সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “আমরাও নিয়মিত নানা পুজোর সঙ্গে যুক্ত। তাই বলে এক কোটি টাকা তো সহজ কথা নয়। একটি গ্রামের গণেশ পুজোয় এক কোটি টাকা কোচবিহারে বসে ভাবতে পারি না।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘এ সব সিন্ডিকেটের টাকা। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা উচিত।” সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মহানন্দা সাহা বলেন, “টাকার উৎস জানা দরকার। ওই গ্রামে শুধু চাঁদা তুলে বা মানুষের দানে এত টাকা আসতে পারে না। এর থেকেই পরিষ্কার তৃণমূলে কী চলছে।”
তবে ওই পুজো যে এক কোটি টাকার, তা মানতে নারাজ নিশীথবাবু। তিনি বলেন, “প্রথমত, ওই পুজো আমার একার নয়। সকলে মিলে কমিটি তৈরি করে ওই পুজো হচ্ছে। আর বাজেটও কোটি টাকা নয়, ২৫ লক্ষের মতো। এ সব অপপ্রচার।’’ তাঁর কথায়, ‘‘মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়েই পুজো হচ্ছে। আসলে বিরোধীদের কিছু বলতে হয় তাই বলছে।”
পুজো কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, বুধবার পুজোর উদ্বোধন হবে। তার পরে ৯ দিন ধরে বলিউড ও টলিউডের নানা শিল্পীকে এনে অনুষ্ঠান হবে। সেই তালিকায় রয়েছেন বলিউডের হিমেশ রেশমিয়া থেকে টলিউডের শুভশ্রী, রিমা সানে-সহ এক ঝাঁক শিল্পী। বাংলাদেশ থেকেও শিল্পীদের আনা হবে বলে খবর। রুশ বেলি ড্যান্সের একটি ট্রুপও অনুষ্ঠান করবে পুজোয়। ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠানের শেষ দিন হাজির থাকবেন হিমেশ। তৃণমূল নেতা তথা দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, “কে কী পুজো করবে, সেটা একান্তই তাঁর ব্যাপার। বাজেটের বিষয়টি উদ্যোক্তারাই বলতে পারবেন।”