শিক্ষকতার চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে এক লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে শিলিগুড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার তাকে গ্রেফতার করে খড়িবাড়ি থানার পুলিশ।
পুলিশ এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কর্মীর নাম সুনীল কুমার মণ্ডল। তিনি পিওনের পদে রয়েছেন। ২০১২ সালে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের চাকরির পরীক্ষা দিয়েছিলেন খড়িবাড়ির এক মহিলা। তিনি অভিযোগ করেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের ওই কর্মী চাকরি পাইয়ে দেবে বলে কয়েক দফায় ১ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু এখনও চাকরি মেলেনি। ওই নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়টি এখনও ঝুলে রয়েছে। অভিযোগকারী পুলিশে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি সংসদের অফিসেও ডাকযোগে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতে প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের তরফে ওই কর্মীকে শো-কজ করে তার বক্তব্য শোনা হয়। তার বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শিলিগুড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান মুকুলকান্তি ঘোষ বলেন, ‘‘অভিযোগ মেলার পরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনও অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। বিষয়টি নিয়ে থানায় এবং প্রশাসনিক স্তরেও জানানোও হয়েছে।’’
প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে শিলিগুড়ি মহকুমার বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলে ১৭১ আসনে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের জন্য নোটিস দেওয়া হয়। তবে পরীক্ষা হয় ২০১২ সালে। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া মাঝপথে বন্ধ হয়ে রয়েছে। খাতা নিয়ে কলকাতায় গিয়েছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের তৎকালীন চেয়ারম্যান। ফের তিনি খাতা ফেরত এনে পুলিশে দেন। তা সরকারি হেফাজতে রয়েছে।
সরকারি আইনজীবী সুদীপ বাসুনিয়া জানান, মহিলা অভিযোগ করেছিলেন, ওই কর্মী তাঁকে জানিয়েছিল চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাঁর ভাল সম্পর্ক রয়েছে। ওই টাকা দিলে তিনি চাকরি পাইয়ে দেবেন। সেই মতো ৫০ হাজার টাকা নগদ দেওয়া হয়েছিল। বাকি টাকা কয়েক দফায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে দেন ওই মহিলা। সুদীপবাবু বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে এ দিন আদালতে তোলা হলে পুলিশ ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে চায়। এর সঙ্গে কারা যুক্ত, ওই টাকার ভাগ আর কারা পেয়েছেন তা তদন্ত করে তারা দেখতে চান। সেই মতো সাত দিনের পুলিশে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।’’
কর আদায়ে উদ্যোগ। শহরে অন্তত এক হাজার বহুতল রয়েছে যেগুলির এখনও নামজারি বা হোল্ডিং নম্বর নেই। তা থেকে কর আদায়ও হচ্ছে না। ওই সমস্ত বহুতল থেকে আদায়ের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী পুর কর্তৃপক্ষ। সোমবার মেয়র পারিষদের সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে বড় বহুতলে ৫০ টির বেশি ফ্ল্যাট থাকলে সেগুলির ক্ষেত্রে ‘সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট’ এবং ‘কম্পোজস্টার’ বসানো বাধ্যতামূলক করা হবে বলেও ঠিক হয়।