প্রতীকী ছবি
পরীক্ষাকেন্দ্রে টুকলি সরবরাহ করতে গিয়ে গ্রেফতার হল চার যুবক। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন মালদহের রতুয়ার ভাদো বিএসবি হাইস্কুলে ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা প্রত্যেকেই বহিরাগত।
মাধ্যমিকের সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের কার্নিসে উঠে টুকলি সরবরাহের অভিযোগ উঠেছিল রতুয়ার দু’টি স্কুলে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সেই পরিস্থিতি এড়াতে এ বার প্রতিটি কেন্দ্রে রয়েছে কড়া পুলিশি ব্যবস্থা। পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে যাতে কোনও পরীক্ষার্থী না ঢুকতে পারে, সে জন্য মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে।
অভিযোগ, এ দিন পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই পুলিশের নজর এড়িয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে রাস্তা থেকে টুকলি সরবরাহের চেষ্টা করে কয়েক জন বহিরাগত যুবক। পুলিশের তাড়া খেয়ে পালালেও ফের তারা দোতালার ক্লাসঘরে টুকলির কাগজ পৌঁছনোর চেষ্টা করে। তার পরেই ধাওয়া করে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।
চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘কেউ পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে বিশৃঙ্খলা বা নকল সরবরাহের চেষ্টা করলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। ভাদোয় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মহকুমার অন্য পরীক্ষাকেন্দ্রে সুষ্ঠু ভাবেই পরীক্ষা হয়েছে।’’
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মাধ্যমিকের সময় রতুয়া-সহ রাজ্যের একাধিক পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকার অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশ তাদের গ্রেফতারও করে। মোবাইল নিয়ে ঢুকে প্রশ্নফাঁসের মতো ঘটনা এড়াতে এ বার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ থেকে প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টর দেওয়া হয়েছে। যার নাম ‘হ্যান্ড হ্যান্ডেল মেটাল ডিটেক্টর’। তা দিয়ে মোবাইল ফোন, লোহার জিনিস শনাক্ত করা সম্ভব। আর সে জন্যই এ দিন পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকার মতো ঘটনা ঘটেনি বলে মনে করছে পুলিশ। পাশাপাশি প্রতিটি কেন্দ্রে কড়া পুলিশি ব্যবস্থা থাকায় ভাদো বাদে অন্য কোথাও বিশৃঙ্খলাও তৈরি হয়নি।
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ভাদোয় পরীক্ষার প্রথম দিনেই চারজনকে গ্রেফতার করে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে।’’
রতুয়ার মূল পরীক্ষাকেন্দ্রই ভাদো বিএসবি হাইস্কুল। স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা কেন্দ্র সম্পাদক আব্বাস আলি অবশ্য বলেন, ‘‘বাইরে পুলিশ সজাগ থাকায় চার জন গ্রেফতার হয়েছে। তবে কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভাবেইপরীক্ষা হয়েছে।’’