২০০৯ সালে, নির্বাচনী প্রচারে, কোচবিহারের রাসমেলার মাঠে।
তিনি নেই, খবরটা শুনেই আঁতকে উঠেছি। শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র হওয়া থেকে জীবনে আমার যা কিছু সম্মান, সব ওঁর জন্যই পেয়েছি। মেয়ের মতো ভালবাসতেন। ভীষণ স্নেহ করতেন। পুরবোর্ড চালাতে গিয়ে যখনই প্রয়োজন হয়েছে, তাঁকে ফোন করেছি। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর জন্যই মেয়র হয়েছি। তাই যখন বোর্ড থেকে বেরিয়ে এসেছি, তখন তাঁর অনুমতি নিয়েই সেটা করেছি। তিনি ছিলেন মাথার উপরে একটা ছাদ।
এই সম্পর্ক কিন্তু ওঁর রাজনৈতিক জীবনের উত্থানেও বদলায়নি। তিনি যখন রাষ্ট্রপতি, দেশের সাংবিধানিক প্রধান, তখনও ফোন করলে সাড়া পেতাম। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের জন্য কর্তৃপক্ষ প্রণববাবুকে আমন্ত্রণ জানাতে চান। আমি তাঁকে জানাই। তিনি সম্মতিও দিয়েছিলেন।
তখন আমি মহিলা কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী। প্রণববাবু এলে ভিড় ঠেলেই তাঁর কাছে যেতাম। বলেছিলেন, মানুষের জন্য একটা সমবায় তৈরি কর, যেটা দেশ জুড়ে কাজ করতে পারবে। খাদি নিয়ে কাজ করতে বলেন। তাঁর পরামর্শে কলকাতায় গিয়ে খাদি কর্তাদের সঙ্গে দেখা করি। ইতস্তত করছিলাম। আমি পরিচয় দিতে সেখানকার কর্মকর্তারাই জানালেন, প্রণববাবু তাঁদের আগে থেকে বলেই রেখেছেন। এমন মানুষ আর কখনও পাব কি না জানি না।
(শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র)