ক্রোধ: খয়েরবাড়িতে চিকিৎসা চলছে চিতাবাঘটির। নিজস্ব চিত্র
শহরের সেবক রোড থেকে খাঁচাবন্দি চিতাবাঘটিকে আপাতত কোনও জঙ্গলে ছাড়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিল বন দফতর। তাই বৃহস্পতিবার খাঁচাবন্দি চিতাবাঘটিকে গাড়িতে চাপিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হল ডুয়ার্সের দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ‘রেসকিউ সেন্টারে’। বন দফতর সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার গভীর রাতে মার্বেল গুদাম লাগোয়া এলাকায় থেকে চিতাবাঘটি খাঁচাবন্দি হতেই পাঠিয়ে দেওয়া হয় সুকনা’র ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডে। চিকিৎসাও শুরু হয়। দুই দিনের মধ্যে চিতাবাঘাটিকে মহানন্দা অভয়ারণ্যের কোনও কোর এরিয়ার ছাড়া হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়। কিন্তু চিতাবাঘটি সহজেই শিকারের লোভে ফের লোকালয়ে ঢোকার চেষ্টা করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন কয়েকজন অফিসার। চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞরাও জানিয়ে দেন, বছর আটেকের চিতাবাঘটির শারীরিক অবস্থা যা তাতে সে জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে শিকার করতে চায় না। অতি সহজেই খাবারের স্বাদও সেবক রোডে সাত দিন ধরে পেয়ে গিয়েছে।
পাঁচটি কুকুরের দেহাংশও মিলেছে। কোর এরিয়া’য় ছাড়া হলেও ধীরে ধীরে সেটি ফের লোকালয়ে দিকে এগোন চেষ্টা করবেই। কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাই প্রাণীটিকে বন্যপ্রাণ শেল্টারে রাখা হবে বলে ঠিক হয়।
দার্জিলিং বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও ধর্মদেব রাই বলেন, ‘‘প্রাণীটিকে পর্যবেক্ষণে রাখাটা খুবই জরুরি। ওকে এখন জঙ্গলে ছাড়া যাবে না। সুকনা’য় সাময়িকভাবে বন্যপ্রাণীদের রাখা যায়। তাই বুনোটিকে খয়েরবাড়ির সেন্টারে পাঠান হল।’’ জঙ্গলে ছাড়া হলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সেটি কুকুর-ছাগলের খোঁজে সুকনা, মিলনমোড়, গুলমা, শালুগাড়া, সেবক বা আড়াই মাইলে আবার ঢুকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা।