Buxa Hills

ধসে বিচ্ছিন্ন বক্সার পাঁচটি গ্রাম

ওচলুম গ্রামের বাসিন্দা মেরি ভুটিয়া বলেন, ‘‘পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দারা ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতেন। প্রধান রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। চলতি বছরে এই প্রথম ব্যাপক ধস নামল।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২৪ ২৩:৪০
Share:

ভারী বৃষ্টির জেরে বক্সা পাহাড়ের পাঁচটি গ্রাম সমতল থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। —নিজস্ব চিত্র।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টির জেরে বক্সা পাহাড়ের পাঁচটি গ্রাম সমতল থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বক্সা ফোর্টের কাছে বড়সড়ে ধস নামায় পাহাড়ের প্রায় ১০০ মিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত। বিপাকে পড়েছেন অন্তত হাজার জন বাসিন্দা। বক্সাদুয়ারে বৃহস্পতিবার রাতে ২৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। প্রায় কাছাকাছি বৃষ্টি হয়েছে শুক্রবার রাতেও। যার জেরে জয়ন্তী ফরেস্ট বাংলো এলাকায় নদীভাঙন শুরু হয়েছে। ধসের জেরে লেপচাখা, ওচলুম, তাসিগাঁও, লালবাংলো, বক্সা ফোর্ট এই সব জায়গায় যাতায়াত বন্ধ। নেই বিদ্যুৎসংযোগ। ধসের জেরে উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুটি। ইতিমধ্যেই কাজে নেমেছে জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ এবং বিদ্যুৎ বিভাগ।

Advertisement

ওচলুম গ্রামের বাসিন্দা মেরি ভুটিয়া বলেন, ‘‘পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দারা ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতেন। প্রধান রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। চলতি বছরে এই প্রথম ব্যাপক ধস নামল।’’ অন্য দিকে লেপচাখার বাসিন্দা সুনীতা কুজুর বলেন, ‘‘প্রধান সড়ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর যাতায়াতে অসুবিধা যেমন হচ্ছে, তেমনি জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে কী করব, সেটাই ভাবাচ্ছে। কাউকে এই মুহুর্তে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। দুর্গম বিকল্প ঘুরপথে খুব প্রয়োজন না হলে কেউ যাতায়াত করছে না।’’

এ বিষয়ে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক আর বিমলা বলেন, ‘‘ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ শুরু করেছে। পাহাড় কেটে একজন মানুষ চলাচলের মতো রাস্তা বার করা হয়েছে। অন্য দিকে বিদ্যুৎ বিভাগও দ্রুত কাজ করছে। গোটা পরিস্থিতির উপর আমরা নজর রেখেছি। সব সময় পর্যবেক্ষণ চলছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement