উদ্ধার হওয়া অস্ত্র।—নিজস্ব চিত্র
ভোটের মুখে পুন্ডিবাড়িতে তৃণমূল কর্মী খুনে অভিযুক্ত এক বিজেপি কর্মীর বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গ্রেনেড উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার রাতে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুন্ডিবাড়ি এলাকায় ওই ঘটনার পরে বিজেপি অবশ্য দাবি করেছে, তাদের কর্মীকে ফাঁসানো হচ্ছে।
শনিবার রাতে পুন্ডিবাড়ির বাসিন্দা মন্টু সরকারের বাড়ি থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল, একটি তাজা কার্তুজ ও একটি গ্রেনেড উদ্ধার হয়। পুলিশ জানায়, গত নভেম্বরে গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই এলাকায় নারায়ণ মহানায়ক নামে এক তৃণমূল কর্মী খুন হন। ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে মন্টুর নাম ছিল। পরে সে আত্মসমর্পণ করে। পুলিশের দাবি, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। পুলিশ সুপার সুনীল যাদব বলেন, “উদ্ধার হওয়া ওই পিস্তলটি খুনের ঘটনায় ব্যবহার করা হয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে।”
তৃণমূলের কোচবিহার ২ ব্লক সভাপতি পরিমল বর্মন বলেন, “নারায়ণবাবুকে খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন বিজেপি’র ওই কর্মী।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সম্পাদক নিখিলরঞ্জন দে অবশ্য বলেন, “ওই কর্মীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ তাঁর বাড়িতেও যায়নি।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “আমরা আগেই বলেছিলাম বিজেপি’র হাতে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে।” সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, পুলিশ নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফলে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে লাভ হবে না।
ওই রাতেই দিনহাটার ভেটাগুড়ি এলাকা থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।