অবশিষ্ট: পুড়ে যাওয়া ঘর। নিজস্ব চিত্র
পুরনো মামলার জেরে মহিলা তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে প্রাণে মারার চেষ্টার অভিযোগকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের খিদিরপুরে সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না ওই তিনি। আগুনে আসবাবপত্র, নগদ টাকা মিলিয়ে ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই তৃণমূল নেত্রী। তার মেয়েকে অপহরণে অভিযুক্ত ছয় প্রতিবেশী ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত বলে এ দিন বিকেলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তারা এলাকায় সক্রিয় কংগ্রেস কর্মী বলে পরিচিত। চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। সব খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ওই তৃণমূল নেত্রীর নাম বিবি বিউটি বেগম। স্বামী শেখ হাসনুদ দিল্লিতে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। এলাকার মহিলা সংগঠনের দায়িত্বে রয়েছেন বিউটিদেবী। বাড়িতে যাতায়াতের সুযোগে গত বছর প্রতিবেশী যুবক শেখ শাজাহান দলবল নিয়ে তাঁর একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় শেখ শাজাহান-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পুলিশ তাদের গ্রেফতারও করে। আপাতত তারা জামিনে রয়েছে। ঘটনার পর মেয়েকে বাড়িতে না রেখে অন্যত্র রেখেছেন বিউটিদেবী। দিনকয়েক আগে অভিযুক্তরা তাকে প্রাণে মারার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। তারপর থেকে তিনি পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে রাতে প্রতিবেশীর বাড়িতে ঘুমোতেন। রাতে আচমকাই বাড়িতে আগুন লাগার পর ছুটে এসে দেখেন যে তাঁর পাকা বাড়ি দাউদাউ করে জ্বলছে।
জানালার গ্রিলের কাচ গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে পেট্রোল ছড়িয়ে শোওয়ার ঘরে আগুন ধরানো হয় বলে অভিযোগ। দমকল পৌঁছনোর আগে বাসিন্দারাই স্যালো চালিয়ে আগুন নেভানোর আগেই ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বিউটিদেবী বলেন, বাড়ি এসে অভিযুক্তদের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি। আমাকে প্রাণে মারতে ওরাই এ কাজ করেছে। হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল-সহ সভাপতি তজমুল হোসেন বলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে ভয় দেখাতে এসব কংগ্রেসিদের চক্রান্ত। পুলিশকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’ যদিও হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক মোস্তাক আলমের পাল্টা দাবি, ‘‘এর সঙ্গে রাজনীতির আবার কী সম্পর্ক! যাদের কথা বলা হচ্ছে তাদের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। অযথা দলের নাম জড়ানো হচ্ছে।’’