ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবার দিনহাটার জামাদরবসে আসেন সিবিআই আধিকারিকেরা। আর এ দিনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের নামে বোমা তৈরির কারখানা ছাড়াও চাকরির নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠল। বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার গোসানিমারি দুই নম্বর অঞ্চল প্রাক্তন সভাপতি ফিরদৌস ইসলাম নামে এক যুবক মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নামে দিনহাটা থানায় ওই অভিযোগ দায়ের করেন। এ নিয়ে মন্ত্রীকে ফোন করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। হোয়াটসঅ্যাপেরও উত্তর মেলেনি। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী তথা বিধায়ক মালতি রাভা অবশ্য বলেন, ‘‘এটি তৃণমূলের ষড়যন্ত্র। নিশীথ মন্ত্রী হয়েছেন, তাই তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।’’
যুবকের অভিযোগ, অসম থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে বোমা তৈরি করাতেন নিশীথ প্রামাণিক। সেই বোমাগুলি রাখার দায়িত্ব তাঁর উপর দেওয়া হয়। ভোটের আগে গত ৫ মার্চ একদিন মোটরবাইকে সেই বোমা নিয়ে যাওয়ার সময় লক্ষ্মীর বাজার এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তিনি আহত হন। তাঁর আরও অভিযোগ, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে এক লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন নিশীথ। চাকরি হয়নি অথচ সেই টাকা চাওয়া সত্ত্বেও তা ফেরত দেওয়া হয়নি।
এ দিন ওই যুবক জানান, বর্তমানে তিনি চরম সমস্যায় রয়েছেন। বাধ্য হয়ে জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান উদয়ন গুহকে জানান, বলেন যুবক।
তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ বলেন, ‘‘ওই যুবককে আমি আগে চিনতাম না। এ দিন সে বাড়িতে এসে সমস্ত ঘটনা জানায়। বিজেপি সাংসদের কথা মতো এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বোমা বাইকে করে নিয়ে যাওয়ার সময়ে সেই বোমা বিস্ফোরণে যুবক আহত হয়। সেই বোমা তৈরির কারিগরও ছিল ফিরদৌস। কেবল তাই নয়, চাকরির নাম করে টাকা নেওয়া হয়েছিল ওই যুবকের কাছ থেকে। বর্তমানের ছেলেটি নিঃস্ব। এগুলি মানবাধিকার কমিশন বা সিবিআই- এর কাছে তুলে ধরার কেউ নেই। পুলিশের উপর মহলে আবেদন করব, এই রহস্য উন্মোচনের। এর সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলা হবে।’’
দিনহাটা থানার আইসি সুরজ থাপা জানান, একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। সেটা খতিয়ে দেখা হবে।