নজর রাখতে নাম প্রকাশ

ভোটের দিন পাহাড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছে পুলিশ-প্রশাসন। আগাম ব্যবস্থা হিসাবে তাই বৃহস্পতিবার বিকালে ১২৫ জনের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করল দার্জিলিং সদর প্রশাসন। ভোটের দিন পোলিং স্টেশনের আশেপাশে তাদের গতিবিধিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৭ ০৩:১৭
Share:

ভোটের দিন পাহাড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছে পুলিশ-প্রশাসন। আগাম ব্যবস্থা হিসাবে তাই বৃহস্পতিবার বিকালে ১২৫ জনের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করল দার্জিলিং সদর প্রশাসন। ভোটের দিন পোলিং স্টেশনের আশেপাশে তাদের গতিবিধিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই তালিকায় নাম থাকা অধিকাংশরাই পাহাড়ে মোর্চার সক্রিয় কর্মী বলে পরিচিত। এদের মধ্যে যুবমোর্চা, নারী মোর্চা এবং বিদ্যার্থী মোর্চার নেতা নেত্রীরা রয়েছেন। প্রশাসনের তরফে ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত চক্রবর্তী ওই নির্দেশ জারি করেছেন। তিনি দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার, জেলাশাসক, সবাইকে নির্দেশের কপি পাঠিয়ে দিয়েছেন। ওই তালিকাভুক্তরা যাতে ১৪ মে, সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পোলিং স্টেশনের আশেপাশে না থাকেন তা সুনিশ্চিত করতে বলেছেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৫ বছরে দার্জিলিং সদরের বিভিন্ন ঘটনার জেরে ওই ১২৫ জনের নামে সিআরপিসি’র ১০৭ ধারায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। আইন অনুসারে অভিযুক্তদের থানায় বন্ড দিয়ে জানাতে হয়েছিল, তাঁরা কোনও ধরণের গোলমালে লিপ্ত থাকবেন না। ভোটের সময় গোলমালের আশঙ্কা থাকায় নতুন করে ভোটের দিন ওই অভিযুক্তদের গতিবিধির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেওয়া হল।

Advertisement

জেলার নির্বাচনী আধিকারিক তথা জেলাশাসক জয়সি দাস বলেন, ‘‘ওই বাসিন্দারা ভোট দিতে পারবেন। একা গিয়ে ভোট দিয়ে চলে যাবেন। কিন্তু বুথে বা পোলিং স্টেশনের আশেপাশে ঘোরাফেরা করতে পারবেন না। আইন শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা রুখতে এই ব্যবস্থা।’’

তৃণমূল সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভোট করাতে চাইছে বলে মোর্চা সরাসরি অভিযোগ করেছে। দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, ‘‘তালিকায় কাদের নাম রয়েছে তা আমরা দেখছি। আসলে তৃণমূল পুলিশ-প্রশাসনকে ভোটের রাজনীতিতে নামিয়ে দিয়েছে। মানুষ এর জবাব দেবে।’’

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পাহাড়ের চারটি পুরসভার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওয়ার্ড দার্জিলিঙে। মোট ৩২টি। এবারই প্রথম পাহাড়ের পুরভোটে লড়ছে তৃণমূল। দার্জিলিঙে রয়েছেন তিন মন্ত্রী গৌতম দেব, অরূপ বিশ্বাস ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। রয়েছেন এসজেডিএ-এর চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী। মোর্চার অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের (সমতল) সভাপতি, মন্ত্রী গৌতমবাবু বলেন, ‘‘পুলিশ-প্রশাসন নিজেদের কাজ করছে। মোর্চা নেতাদের সমস্যা থাকলে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement