জেলা জুড়ে টানা বৃষ্টির জেরে আমন ধানের বীজতলার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষি আধিকারিকরা। কৃষি দফতরের আশঙ্কা এরকম বৃষ্টি আরও দু-তিনদিন চললে বহু জমির বীজতলার ক্ষতি হতে পারে। কয়েক হাজার হেক্টর জমির দিকে নজর রেখেছেন তাঁরা।
গত শনিবার কোচবিহারে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টির ফলে নিচু জমিতে জল জমে যায়। একাধিক জায়গায় বীজতলা জলের নিচে চলে গিয়েছে। কৃষি দফতর সূত্রের খবর, জেলায় প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে বীজতলা ডুবে গিয়েছে। আরও প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে অতিরিক্ত জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য চারদিকেই এখন জলে ভরে গিয়েছে। খাল, পুকুর সবকিছুই জলে টইটুম্বুর থাকায় ওই জমিগুলি থেকে জল বের করে দেওয়ার জন্য রাস্তা পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় একমাত্র বৃষ্টি বন্ধ হলেই জল নামার সুযোগ রয়েছে। কোচবিহার জেলা কৃষি আধিকারিক মিজানুর আহসান বলেন, “জল যদি না নামতে পারে সেক্ষেত্রে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবে জল নেমে গেলে কোনও অসুবিধে নেই। আশা করছি জল নেমে যাবে।” কৃষি দফতর সূত্রের খবর, কোচবিহারে প্রায় দু’লক্ষ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়। কয়েক লক্ষ কৃষক ওই চাষের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। নদী লাগোয়া এলাকাগুলির একটি বড় অংশে ওই চাষ হয়। টানা বৃষ্টি এবং নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় বহু জায়গাতেই নদী সংলগ্ন এলাকার জমিগুলিতে বীজতলা ডুবে গিয়েছে। কোচবিহার ১ ব্লকের কৃষি আধিকারিক রজত চট্টোপাধ্যায় জানান, এই ব্লকে ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়। কদমতলা লাগোয়া এলাকার কৃষক নন্দ বর্মন জানান, তিনি ছয় বিঘার জমিতে ধান চাষের জন্য বীজতলা তৈরি করেছেন। চারদিন ধরে ওই বীজতলা জলের নিচে রয়েছে। তিনি বলেন, “জল বেরোনর কোনও রাস্তা নেই। এই মুহূর্তে আরও বৃষ্টি হলে ভয়ানক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।”