পায়ে দড়ি বাঁধা অবস্থায় কিশোর। নিজস্ব চিত্র।
পায়ে দড়ি বেঁধে ছেলেকে রাখতে হত উঠোনের এক কোণে। সে ভাবেই কেটেছে প্রায় গোটা শৈশব। কৈশোরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ১৬ বছরের বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ছেলেকে প্রতিদিন ঘরে বেঁধে রেখেই রুজিরোজগারের চেষ্টায় বাইরে বার হচ্ছেন ফালাকাটার এক দম্পতি।
ফালাকাটা ব্লকের ধনীরামপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মেছুয়াধুরা বালাবাথন এলাকার কিশোর রঘুনন্দন গিরির বাবা ভিক্ষাবৃত্তি করেন। বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করেন মা। এ ভাবেই কোনও মতে চলে তাঁদের সংসার। টানাটানির সংসারে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন রঘুনন্দন রীতিমতো অসুস্থ। তবে তা সত্ত্বেও ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছেন না ওই দম্পতি।
ওই কিশোরের পরিবার জানিয়েছে, জন্মের পর আর পাঁচটা শিশুর মতোই ছিল রঘু। তবে তিন বছর পেরোনোর পর দেখা যায়, কথা বলতে সমস্যা রয়েছে শিশুটির। ধীরে ধীরে রঘুর শরীরের নিম্নাংশে জড়তা দেখা যায়। পরে দু’পায়ে সামান্য শক্তি ফিরে এলেও চিরতরে হারিয়ে যায় তার মুখের ভাষা। তবে নিম্ন আয়ের সংসারে কী ভাবে ছেলের চিকিৎসার খরচ জুটবে, তা ভেবেই হয়রান হচ্ছেন রঘুনন্দনের মা-বাবা।