রাস্তা আটকে অনুষ্ঠানের চাঁদা তোলার অভিযোগে পুলিশি ধরপাকড়কে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানার আমবাড়িতে। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে আমবাড়ির ভোটপাড়া স্কুলের সামনে রাস্তা আটকে চাঁদা তোলা হচ্ছিল। এই অভিযোগে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করলে অবরোধ শুরু করে বাসিন্দাদের একাংশ। পুলিশের একটি গাড়িও ভাঙচুর হয় বলে অভিযোগ। সে সময় একটি ঘটনার তদন্ত সেরে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা-সহ অন্য পদস্থ অফিসাররা আমবাড়ি দিয়ে ফিরছিলেন। অবরোধে আটকে পড়ে কমিশনারের গাড়ি।
বিক্ষোভকারীরা কমিশনারের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পুলিশ কর্তাদের নিরাপত্তারক্ষীরা ঘেরাও মুক্ত করে কমিশনারকে নিয়ে গেলেও, বিক্ষোভ চলতে থাকে।
শিলিগুড়ির পুলিশের এডিসিপি সহ বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘটনায় পরে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপরে থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বাসিন্দারা। শিলিগুড়ির এডিসিপি ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, ‘‘রাস্তা আটকে বেআইনিভাবে চাঁদা তোলার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেফতার করার পরে বিক্ষোভ শুরু হয়। কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাতেও তল্লাশি চলছে।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত এদিন দুপুরে। ভোটপাড়া স্কুলের সামনে সহ কয়েকটি এলাকায় ছোট বড় দলে ভাগ হয়ে কয়েকজন চাঁদা তুলছিলেন বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা শুনে আমবাড়ি ফাঁড়ি থেকে পুলিশ গিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করে আনা হয়। তারপরেই শুরু হয় বিক্ষোভ। রাস্তা অবরোধ শুরু করেন বাসিন্দাদের একাংশ। সে সময় ওই এলাকায় দিয়ে ফুলবাড়ি ক্যানেলের দিকে যাচ্ছিলেন।
এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, অবরোধ ওঠাতে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপরে লাঠি চালায়। এতে কয়েকজন জখম হন। কিছু সময়ের জন্য অবরোধ উঠে গেলেও, লাঠি চালানোর প্রতিবাদে ফের রাস্তা আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন বাসিন্দারা। ধৃতদের ছেড়ে না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। যদিও পুলিশ লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ঘটনার কথা শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। মন্ত্রী বলেন, ‘‘বেআইনি ভাবে চাঁদা তোলা কখনওই প্রশ্রয় দেওয়া যায় না। পুলিশের উপরে হেনস্থাও মানা যায় না। আশা করছি, পুলিশ নিশ্চয় কড়া পদক্ষেপ করবে।’’
এ দিকে আমবাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, জোর করে রাস্তা আটকে চাঁদা তোলা হয়নি। পথচারীদের এবং গাড়ি আরোহীদের কিছু চাঁদর জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। পুলিশ খোঁজখবর না নিয়েই নির্বিচারে লাঠি চালিয়েছে।